ম্যারাডোনার ৮ চিকিৎসাকর্মীর বিচার হবে

আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনাফাইল ছবি: এএফপি

ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর ঘটনায় ‘অবহেলাজনিত হত্যা’র অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন আট চিকিৎসাকর্মী। আর্জেন্টিনার একটি আদালত এ বিষয়ে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুর রায় দিয়েছেন। আগামী বছর অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার শুরু হবে।

কিংবদন্তি আর্জেন্টাইন ফুটবলার ম্যারাডোনা ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বরে বুয়েনস এইরেসের নিজ বাসায় মারা যান। ময়নাতদন্তে তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল বলে জানানো হয়। তবে ম্যারাডোনা শেষ সময়ে সঠিক চিকিৎসা ও পরিচর্যা পেয়েছেন কি না, এ নিয়ে বিতর্ক উঠলে আনুষ্ঠানিকভাবে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।

মেডিকেল বোর্ড তাদের প্রতিবেদনে জানায়, শেষ ১২ ঘণ্টায় তীব্র যন্ত্রণায় ভুগেছিলেন ম্যারাডোনা। ওই সময় পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া হয়নি তাঁকে। ঠিক সময়ে হাসপাতালে নেওয়া গেলে ম্যারাডোনা বেঁচে যেতে পারতেন বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ম্যারাডোনার চিকিৎসায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘অবহেলাজনিত হত্যা’র অভিযোগ করেন সরকারি কৌঁসুলিরা।
মঙ্গলবার আর্জেন্টিনার সান ইসিদ্রোর তিন সদস্যের বিচারক প্যানেলে অভিযোগের শুনানি হয়। বিবাদীপক্ষ লঘু অভিযোগ গঠনের আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেন।

কার্লোস ফ্যাবিয়ান ব্লাঙ্কো নামের এক বিচারক বলেন, প্রসিকিউটররা যে প্রমাণ হাজির করেছেন, তাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর যথেষ্ট উপাদান আছে। এরপর ম্যারাডোনার চিকিৎসায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘বেপরোয়া ও অদক্ষ কাজে’র অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচার শুরুর সিদ্ধান্ত জানান আদালত। ২০২৪ সালের শুরুর দিকে বিচার কার্যক্রম শুরুর সম্ভাবনার কথা জানান আদালত।

অভিযুক্ত চিকিৎসাকর্মীরা হচ্ছেন ম্যারাডোনার চিকিৎসা দলে থাকা নিউরোসার্জন লিওপোলদো লুক, সাইকিয়াট্রিস্ট অগাস্টিনা কোসাচোভ, সাইকোলজিস্ট কার্লোস দিয়াজ, চিকিৎসক ন্যান্সি ফোরলিনি ও পেদ্রো দি স্পাগনা, নার্সদের সমন্বয়ক মারিয়ানো পেরোনি এবং দুই নার্স রিকার্ডো আলমিরন ও দাহিয়ানা মাদ্রিদ।

আরও পড়ুন

আদালত কর্তৃক বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর কথা শোনার পর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ম্যারাডেনার মেয়ে দালমা।

স্প্যানিশ ভাষায় ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দালমা লিখেছেন, ‘ধীরগতির বিচারপ্রক্রিয়া অনেক সময়ই যন্ত্রণাদায়ক হয়। তবে আমরা শেষ পর্যন্ত দেখে যেতে চাই, যত দিন না সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হয়। যাঁরা নিজেদের কাজ থামিয়ে দিয়েছিলেন (কারও অনুরোধে বা অদক্ষতার জন্য), তাঁদের বিচার হবে।’
অভিযোগ প্রমাণিত হলে আর্জেন্টাইন আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ৮ থেকে ২৫ বছরের জেল হতে পারে।

আরও পড়ুন