দোনারুম্মাকে কিনতে কত খরচ হবে ম্যানচেস্টার সিটির

পেপ গার্দিওলা গ্রীষ্মের দলবদল শেষ হওয়ার আগেই গোলবারের সামনে জায়গাটা শক্ত করতে চাইছেন।

জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মাছবি: ইনস্টাগ্রাম

২০২৫–২৬ মৌসুমের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি ম্যানচেস্টার সিটির। উলভসের বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয় দিয়ে মৌসুম শুরু করলেও পরের ম্যাচেই নিজেদের মাঠে টটেনহামের কাছে ২–০ গোলে হেরে গেছে পেপ গার্দিওলার দল। যে হারের পেছনে সিটির নতুন গোলরক্ষক জেমস ট্রাফোর্ডেরও ভুলেরও কিছুটা দায় আছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সেই কারণেই পেপ গার্দিওলা গ্রীষ্মের দলবদল শেষ হওয়ার আগেই গোলবারের সামনে জায়গাটা শক্ত করতে চাইছেন। আর সে কারণেই আলোচনায় এসেছে এক বড় নাম—পিএসজির ইতালিয়ান গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা।

দোন্নারুম্মাকে নিতে কত খরচ করতে হবে সিটির

চ্যাম্পিয়নস লিগ, লিগ আঁ ও ফ্রেঞ্চ কাপ—গত মৌসুমে সবকিছুই জিতেছিল পিএসজি। বিস্ময়কর হলেও সত্যি, গত মৌসুমে ট্রেবল জয়ের অন্যতম নায়ক হয়েও এই মৌসুমে পিএসজির প্রথম একাদশ থেকে জায়গা হারিয়েছেন দোন্নারুম্মা। এই মৌসুমে লিগে পিএসজির প্রথম দুই ম্যাচেই গোলবারের নিচে ছিলেন লুকাস শেভালিয়াঁ।

এ সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছে ম্যান সিটি। ইংলিশ ক্লাবটির সঙ্গে ভালোভাবে এগোচ্ছে দোন্নারুম্মার আলোচনাও। শোনা যাচ্ছে, ইতালিয়ান এই গোলরক্ষক সিটির প্রস্তাবও মেনে নিয়েছেন। ইতিহাদে ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায় শুরু করার জন্য প্রস্তুত তিনিও।

দোন্নারুম্মার দাম কমিয়েছে পিএসজি
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

পিএসজি নাকি দোন্নারুম্মার জন্য প্রথমে চাইছিল ৪ কোটি ৩১ লাখ ইউরো। তবে এখন দাম কমিয়ে এনেছে ৩ কোটি ইউরোতে। সিটির সেটা নিয়ে খুব একটা আপত্তি নেই বলেই ইংলিশ সংবাদমাধ্যমের খবর।

তবে এর আগে সিটিকে আরও একটা কাজ করতে হবে। এদেরসনকে বিক্রি করতে হবে। ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষককে নিয়ে গালাতাসারাইয়ের আগ্রহ তুমুল। যদি সে চুক্তি পাকাপাকি হয়, তাহলেই সিটি দোন্নারুম্মাকে কিনতে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেবে।

এই গ্রীষ্মেই বার্নলি থেকে তরুণ গোলরক্ষক জেমস ট্রাফোর্ডকে কিনেছিল সিটি। কিন্তু টটেনহামের বিপক্ষে তাঁর পারফরম্যান্স দেখে সম্ভবত গার্দিওলার মনে প্রশ্ন জেগেছে—এই ছেলের ওপর পুরো মৌসুম ভরসা করা যাবে তো?

আরও পড়ুন

দোন্নারুম্মা অবশ্য এমনিতে আস্থার প্রতিশব্দই বলা যায়। এক দশক ধরে ইউরোপিয়ান ফুটবলে ধারাবাহিকভাবে সেরা গোলরক্ষকদের একজন তিনি।

গত মৌসুমে পিএসজির হয়ে সব মিলিয়ে খেলেছেন ৪৭ ম্যাচ। জাল গোলশূন্য রেখেছেন ১৭ ম্যাচে। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগেই ১৫ ম্যাচে ছিল ৬টি ক্লিনশিট। বিশেষ করে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে নকআউট পর্বের অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর কোচ লুইস এনরিক তাঁকে বলেছিলেন ‘সেনসেশনাল’। ক্লাব পর্যায়ে ৪০০ এর বেশি ম্যাচ খেলেছেন দোন্নারুম্মা। জাতীয় দলে ইতালির হয়ে ৭৪ ম্যাচ খেলেছেন। ইতালির ইউরো ২০২০ জয়ের অন্যতম নায়কও তিনি।

কয়েক দিনের মধ্যেই পিএসজিকে বিদায় বলে দিতে পারেন দোন্নারুম্মা
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

পরিসংখ্যানও মন্দ নয়। লিগ আঁ-তে গত মৌসুমে তাঁর ৬৭.৮ শতাংশ বল সেভ করেছেন। ক্লিনশিট ছিল ১৭.৪ শতাংশ। অভিজ্ঞতা, চাপ সামলানোর ক্ষমতা, আর শট-স্টপিং দক্ষতায় তিনি সেরাদের একজন। বয়সও মাত্র ২৬, ফলে আরও অনেক বছর সিটির গোলবারের নিচে আস্থা হয়ে থাকতে পারবেন। গার্দিওলা কেন তাঁকে পছন্দ করেছেন, তা তো বোঝাই যাচ্ছে।

আরও পড়ুন