গার্দিওলার কাছে খোলাচিঠি: কী লিখেছেন সিটি সমর্থকেরা
কোচের কাছে সমর্থকদের কী চাওয়া থাকে? দল ম্যাচের পর ম্যাচ জিতবে, জিতবে শিরোপার পর শিরোপা। পেপ গার্দিওলা সিটি সমর্থকদের সেই চাওয়া ভালোভাবেই পূরণ করেছেন। টানা চারবার সিটিকে প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি জিতিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন করেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগেও। এবার সেই গার্দিওলার কাছে নতুন দাবি জানিয়েছেন দলটির সমর্থকেরা। স্প্যানিশ কোচকে চিঠি লিখে তাঁরা দাবি করেছেন, স্প্যানিশ কোচ যেন ইতিহাদে টিকিটের দাম কমাতে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।
চিঠিটা লিখেছে ১৮৯৪, এমসিএফসি ফুড ব্যাংক সাপোর্ট, সলিড সিটিজেন্স ও ট্রেড ইউনিয়ন ব্লুজ নামের কয়েকটি সিটি সমর্থক গোষ্ঠী। পরশু সেমিফাইনালে নটিংহাম ফরেস্টকে হারিয়ে সিটি এফএ কাপের ফাইনালে ওঠার পর গার্দিওলাকে চিঠি লিখেছে তারা।
চিঠিতে গার্দিওলাকে সম্বোধন করে লেখা হয়েছে, ‘পেপ, আরেকবার আমাদের ওয়েম্বলির ফাইনালে নিয়ে যাওয়ায় অভিনন্দন। ফরেস্ট ম্যাচের আগে আপনি বলেছেন, সমর্থকেরা অর্থনৈতিকভাবে চাপে আছে। আপনি যে সমস্যাটা বুঝতে পেরেছেন ও সমর্থকগোষ্ঠীকে হাত-পা গুটিয়ে বসে না থেকে সরব হতে বলেছেন, সে কারণে আমরা আপ্লুত।’
গার্দিওলাকে ধন্যবাদ জানানোর পর নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা লেখে তারা, ‘এটা মনে রেখেই আমরা আপনাকে আর একটা উপকার করে দেওয়ার অনুরোধ করব। ক্লাবে আপনার সুহৃদরা অনেক ভালোকিছু করেছেন। আপনি কি দয়া করে তাঁদের আরেকটি ভালো কাজ করতে বলতে পারেন? আপনি কি আপনার প্রিয় বন্ধু ক্লাবের প্রধান নির্বাহী ফেরান সোরিয়ানোর সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলবেন?’
শুধু টিকিটের দাম কমানোই নয়, সিজন টিকিট বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছে তারা, ‘আগামী মৌসুমে স্টেডিয়ামে দর্শক ধারণক্ষমতা আট হাজার বাড়ছে। সমর্থকদের চাওয়া ক্লাব যেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরের ঐতিহ্যের খাতিরে কিছু সিজন টিকিটের ব্যবস্থা করে। সিজন টিকিটধারীদের সংখ্যা দিন দিন কমছেই। সমর্থকেরা খেলা দেখতে মাঠে যেতে না পারলে উচ্চ মূল্যের কারণে টিকিটগুলো পুনর্বিক্রিও করতে পারে না।’
গ্যালারিঠাসা দর্শকের সমর্থন পেতে যে টিকিটের দাম কমানোর বিকল্প নেই, সেটি গার্দিওলাকে মনে করিয়ে দিয়েছে তারা, ‘আপনার মতো আমাদেরও চাওয়া শক্তিশালী একটি ক্লাব, যে ক্লাবের স্টেডিয়াম দর্শকের চিৎকারে গমগম করতে থাকবে। উত্তর গ্যালারির সংস্কারকাজ সেই সুযোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। ক্লাব যদি নতুন করে না ভাবে, তবে আপনি যে পরিবেশ চান, সেটি পাবেন না।’
এ বছর সিটির সমর্থকেরা বেশ কয়েকবারই নানা বিষয় নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। ২ এপ্রিল লেস্টারের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম মিনিটে তো ইতিহাদে কনকোর্সে অবস্থান করে প্রতিবাদ জানান কয়েক হাজার সমর্থক। আট দিন পর সিটি কর্তৃপক্ষ সিজন টিকিটের সর্বোচ্চ মূল বেঁধে দেয়।
এ সপ্তাহে সমর্থকগোষ্ঠীর সঙ্গে বসার কথা রয়েছে ক্লাবের। সেখানেই আলোচনা হবে টিকিটের মূল্য ও সিজন টিকিট নিয়ে।