সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলতে কবে ঢাকায় আসবেন হামজা
২৪ মে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের প্লে–অফ ফাইনালে হামজা চৌধুরীর শেফিল্ড ইউনাইটেড মুখোমুখি হবে সান্ডারল্যান্ডের। এই ম্যাচ জিতলে আবারও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ মিলবে বাংলাদেশের এই তারকা মিডফিল্ডারের। আপাতত সেই ম্যাচের দিকেই তাকিয়ে আছে হামজার পুরো পরিবার।
আজ ইংল্যান্ড থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে এমনটাই বলেছেন হামজার বাবা দেওয়ান গোলাম মোর্শেদ চৌধুরী, ‘২৪ তারিখ তার ফাইনাল। আমরা সবাই সেই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে। ম্যাচটা জিতলে তারা (হামজারা) আবার প্রিমিয়ার লিগে খেলতে পারবে।’
হামজা আসলে শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলছেন লেস্টার সিটি থেকে ধারে গিয়ে। তাঁর মূল দল লেস্টার সিটির অবস্থান প্রিমিয়ার লিগে এবার ভালো নয়। এরই মধ্যে প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমন নিশ্চিত হয়ে গেছে লেস্টারের।
অন্যদিকে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের প্লে-অফ ফাইনালে জিতলে শেফিল্ড আগামী মৌসুমে উঠে যাবে প্রিমিয়ার লিগে। ধারের মেয়াদ অনুসারে সামনের মৌসুমেই লেস্টারে ফেরার কথা হামজার। তবে শেফিল্ড চাইলে তাঁকে চুক্তি করে রেখে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে হামজা আগামী মৌসুমে আবার খেলতে পারবেন ইংলিশ ফুটবলের সর্বোচ্চ লিগে।
১০ জুন ঢাকায় এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। সেই ম্যাচ নিয়ে আপাতত ভাবছেন না হামজা। তাঁর সব ভাবনা এখন সান্ডারল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে। হামজার বাবা মোর্শেদ চৌধুরীই বললেন, ‘আসলে হামজা এখন সান্ডারল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে ব্যস্ত। তার সঙ্গে ফোনে কথা হলেও ফাইনাল ম্যাচটা নিয়ে অনেক কিছু বলে। কারণ, ম্যাচটা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
এর আগে গত ১৭ মার্চ প্রথমে সিলেটে এসেছিলেন হামজা। সেখানে নিজ জেলা হবিগঞ্জের মানুষের কাছ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা ও ভালোবাসা পান। এরপর ১৮ মার্চ রাতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেন।
পরের দিন বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুশীলন শেষে ২০ মার্চ দলের সঙ্গে শিলংয়ে ম্যাচ খেলতে যান। ২৫ মার্চ শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয় হামজার।
১০ জুন জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচটি হবে বাংলাদেশের মাটিতে হামজার অভিষেক ম্যাচ। সেই ম্য্যাচ খেলতে কবে ঢাকার বিমান ধরবেন হামজা, সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা। ২৪ মে সান্ডারল্যান্ড ম্যাচের পরই ঠিক হবে ঢাকায় আসার দিনক্ষণ। এ প্রসঙ্গে হামজার বাবা মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, ‘এখনো ঠিক হয়নি কবে যাব। যেহেতু ২৪ তারিখ তার ফাইনাল। এরপর বলতে পারব।’
বাংলাদেশের ফুটবপ্রেমীদের বড় একটা অংশ ইউরোপিয়ান ফুটবল উপভোগ করেন। হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলার পর সেই সংখ্যাটা আরও বেড়েছে। যেটা হামজার বাবাও অনুভব করছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ হামজাকে অনেক ভালোবাসেন। তাঁরা তো এখন রাত জেগে হামজার ম্যাচগুলো দেখেন। প্রায়ই আমি এসব নিয়ে মেসেজ পাই।’