বিশ্বকাপ জেতার খুব কাছে ইংল্যান্ড, তবে ওয়েঙ্গারের ‘সুপার ফেবারিট’ এবার ফ্রান্স
অপ্টার সুপার কম্পিউটার বলছে, ২০২৬ বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনায় সবচেয়ে এগিয়ে স্পেন। অনেকের চোখে আবার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাই ফেবারিট। ফ্রান্স কিংবা ইংল্যান্ডের নামও বলছেন কেউ কেউ।
কিংবদন্তি ফরাসি কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারের চোখে ফেবারিট কোন দল? ফিফার ‘গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্ট’ প্রধান ওয়েঙ্গার দিয়েছেন নিজের মতামত। তাঁর চোখে, ইংল্যান্ড এবার বিশেষ কিছুর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। সাফল্যের খুব কাছেই আছে তারা।
তবে ওয়েঙ্গার ইংল্যান্ডকে সরাসরি ‘ফেবারিট’ তকমা দিচ্ছেন না। গত কয়েক বছরে খুব কাছে গিয়েও ইংল্যান্ডের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। ওয়েঙ্গার মনে করেন, এবার সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে সাফল্যের দেখা পাওয়ার খুব কাছে টমাস টুখেলের দল।
সম্প্রতি ফিফা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাবেক আর্সেনাল কোচ বলেছেন, ‘ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার। তারা সব সময়ই জয়ের খুব কাছাকাছি যায়। এখন শুধু শেষ ধাপটা পার হতে হবে। বিশ্বকাপ জেতার যথেষ্ট সামর্থ্য ওদের আছে।’
ইংল্যান্ডের প্রশংসা করলেও তাদের সবচেয়ে বড় ফেবারিট মনে করেন না সাবেক আর্সেনাল কোচ। সেই জায়গাটা তিনি বরাদ্দ রেখেছেন ফ্রান্সের জন্য। কেন? কারণটা খুব সহজ—আক্রমণভাগের গভীরতা। টমাস টুখেলের বর্তমান ইংল্যান্ড দলের চেয়ে দিদিয়ের দেশমের ফ্রান্সকে তিনি কিছুটা এগিয়ে রাখছেন।
ওয়েঙ্গারের যুক্তি, ‘আমি নিরপেক্ষভাবেই বলছি, ফ্রান্সই সুপার ফেবারিট। কারণ একটাই, অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ওদের দলে বিশ্বমানের স্ট্রাইকার বেশি। এমন শক্তিশালী বেঞ্চ আর খেলোয়াড়দের গুণগত মানই আসলে পার্থক্য গড়ে দেবে।’
ওয়েঙ্গারের কথার পিঠে কথা বলার সুযোগ খুব কম। রিয়াল মাদ্রিদ তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে তো আছেনই, ফ্রান্সের আক্রমণে আরও আছেন উসমান দেম্বেলে, মার্কাস থুরাম, রন্দাল কোলো মুয়ানি, দেজিরে দুয়ে ও উগো একিতিকে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এ সময় ফ্রান্সের মতো এমন বিধ্বংসী আক্রমণভাগের জুড়ি মেলা ভার।
এবারই প্রথম ৪৮টি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ। এর আগের সাতটি আসর হয়েছিল ৩২ দল নিয়ে।
দলের সংখ্যা বাড়লে টুর্নামেন্টের জৌলুশ কমবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে আর্সেন ওয়েঙ্গার ৪৮ দলের পক্ষেই। তিনি মনে করেন, এটাই সঠিক সংখ্যা। ওয়েঙ্গারের সহজ কথা, ‘আমি মনে করি ৪৮টি দলই সঠিক সংখ্যা। ফিফার সদস্য দেশ ২১১টি। এর মধ্যে ৪৮টি দল সুযোগ পাওয়া মানে ২৫ শতাংশের কম। অর্থাৎ প্রতি চারটি দেশের মধ্যে একটি দেশ সুযোগ পাচ্ছে। তার মানে এখনো ৭৫ শতাংশ দল কিন্তু বিশ্বকাপ খেলার সুযোগই পাচ্ছে না।’