ভালোবাসা, বিচ্ছেদ, আবার ফিরে আসা: আর্জেন্টাইন তারকাকে দ্বিতীয় সুযোগ দিলেন তাঁর বান্ধবী

ভালেন্তিনার সঙ্গে এনজো ফার্নান্দেজভালেন্তিনার ইনস্টাগ্রাম

ভালোবাসার গল্পগুলো হয়তো এমনই হয়।
কখনো হাসি, কখনো কান্না, আবার কখনো একটা বিরতি। চেলসির আর্জেন্টাইন তারকা এনজো ফার্নান্দেজ আর তাঁর বান্ধবী ভালেন্তিনা সেরভান্তেসের গল্পটাও ঠিক তেমন—ভালোবাসা, ভুল–বোঝাবুঝি, বিচ্ছেদ এবং শেষে আবার মিলিত হওয়ার সাহসী সিদ্ধান্ত।
গত বছরের অক্টোবরের কথা। হঠাৎ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এনজো জানিয়ে দিলেন, ভালেন্তিনার সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখতে চান না। সিদ্ধান্তটা যেন আকাশ থেকে পড়ার মতো ধাক্কা ছিল ভালেন্তিনার জন্য। ছোটবেলার প্রেম, একসঙ্গে গড়ে তোলা জীবন, দুটি সন্তান—সবকিছু একমুহূর্তে এলোমেলো হয়ে গেল তাঁর।

আরও পড়ুন

ভালেন্তিনা তখন ইংল্যান্ড থেকে আর্জেন্টিনায় ফিরে গিয়েছিলেন তাঁদের দুই সন্তানকে নিয়ে। কিন্তু মন তো আর দূরত্ব মানে না। এনজোকে মিস করতেন তখনো। তাই তো মাঝে একবার ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘আমি এখনো তাকে ভালোবাসি, ওর জন্য শুভকামনাই জানাই।’
সেই ভালোবাসা বোধ হয় দুই দিক থেকেই ছিল। মিস বোধ হয় এনজোও করতে শুরু করেছিলেন। নিজের মতো জীবন কাটাবেন বলে ভালেন্তিনাকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরও মন মানছিল না। বছরের শুরুতে আবার দেখা গেল তাঁদের একসঙ্গে—লন্ডনের রাস্তায় হাত ধরা, হাসিমুখে...আবার যেন পুরোনো দিনের মতো।

চেলসি কনফারেন্স লিগ জয়ের পর বান্ধবী ও সন্তানদের নিয়ে এনজোর উদযাপন
এনজোর ইনস্টাগ্রাম


এপ্রিলে ভালেন্তিনা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করলেন এনজোর একটা ছবি—মাদ্রিদের এক হোটেলের বিছানায় বিশ্রামে। এরপর তো চেলসি উয়েফা কনফারেন্স লিগ জয়ের পর মাঠেই দেখা গেল তাঁকে; এনজোর পাশে।
সম্প্রতি ‘ডোন্ট থিঙ্ক সো মাচ’ নামে এক টিভি শোতে এনজোর সঙ্গে এই প্রেম-বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন আর্জেন্টাইন মডেল ও ইনফ্লুয়েন্সার ভালেন্তিনা। প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেন তিনি এনজোকে আবার একটা সুযোগ দিলেন? তাঁর উত্তরটা ছিল খুব সাধারণ, কিন্তু গভীর, ‘দ্বিতীয় সুযোগ তো মানুষ হিসেবে আমাদের সবারই প্রাপ্য। ভুল তো করতেই পারি। তবে তৃতীয় বা চতুর্থ সুযোগ নয়, আর নয়। আমরা এখন অনেক ভালো আছি।’

আরও পড়ুন

তবে সঙ্গে এটাও বলেছেন ভালেন্তিনা, ‘ফিরে আসার সিদ্ধান্তটা কঠিন ছিল।’ কারণ, তখন এনজোকে নিয়ে নানা গুঞ্জন সংবাদমাধ্যমে—আর্জেন্টাইন র‍্যাপার নিকি নিকোল, এমনকি জনপ্রিয় মডেল পাম্পিতার নামও উঠে এসেছিল আলোচনায়। তবে নিকি নিজেই সেসব গুঞ্জন উড়িয়ে দেন। ভালেন্তিনা জানান, পাম্পিতাও তাঁকে ফোন করে এসব গুঞ্জন মিথ্যা বলে জানিয়েছিলেন।

ভালেন্তিনার সঙ্গে এনজো ফার্নান্দেজ
এনজোর ইনস্টাগ্রাম


আলাদা থাকার সময়ে অনেক কিছু বদলে গেছে ভালেন্তিনার জীবনে। বললেন, ‘আগে সে যদি আমাকে নিয়ে কোথাও যেতে চাইত, আমি বলতাম, বাচ্চাদের রেখে যাব না। এখন কিন্তু আমি রাজি হই। তবে তিন দিনের বেশি নয়। বাচ্চাদের খুব মিস করি।’
এখন তাঁরা ঝগড়া করেন না। ছোট ছোট ব্যাপারে বোঝাপড়া হয় সহজেই। ভালেন্তিনা বললেন, ‘আমি এনজোকে বদলাতে চাই না। ও যেমন, আমি তেমন করেই মেনে নিয়েছি। আমরা একে অপরকে খুব ভালোভাবে চিনে ফেলেছি।’

আরও পড়ুন