শমিত তো আসছেন, দুই সোহেলের কী হবে

বাংলাদেশের জার্সিতে কোন পজিশনে খেলবেন শমিত সোম সেটাই এখন বড় প্রশ্নসংগৃহীত

সেন্ট্রাল মিডফিল্ডই শমিত সোমের পছন্দের পজিশন! যে পজিশনে খেলতে বেশি অভ্যস্ত তিনি। গতকাল ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি শমিতকে বাংলাদেশের হয়ে খেলার ছাড়পত্র দেওয়ার পরই তাঁকে ঘিরে দেশের ফুটবলে নতুন করে আলোচনার শুরু।

বাংলাদেশের জার্সিতে কোন পজিশনে খেলতে পারেন শমিত, সেটা কোচ হাভিয়ের কাবরেরার ওপরই অনেকটা নির্ভর করছে। যদি শমিতের চাওয়া গুরুত্ব দেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে দেখা যাবে তাকে। এমনটা হলে নিয়মিত জায়গা পাওয়া দুই সোহেলের সাইডবেঞ্চেই কাটাতে হবে ম্যাচের বেশির ভাগ সময়।

আরও পড়ুন

বর্তমানে বাংলাদেশের হয়ে সেন্ট্রাল মিডফিল্ড পজিশনে কখনো সোহেল রানা, আবার কখনো মোহাম্মদ সোহেল রানাকে বেশির ভাগ সময়ই খেলতে দেখা যায়। যদিও জাতীয় দলে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার আছেন আরও দুজন—মজিবুর রহমান ও চন্দন রায়। বসুন্ধরা কিংসের এই চারজনের পজিশন নিয়ে নতুন করে ভাবতে হতে পারে কাবরেরাকে।

সাম্প্রতিক সময়ে মজিবুর ও চন্দনকে ভিন্ন পজিশনে খেলিয়েছেন কোচ। সর্বশেষ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে রাইট উইংয়ে খেলতে দেখা যায় মজিবুরকে। যদিও ১৮ বছর বয়সী চন্দন সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে বেশি খেলেছেন। তবে সেটা ম্যাচের শুরু থেকে নয়, বদলি হিসেবে নেমে।

শমিতের পছন্দের পজিশন সেন্ট্রাল মিডফিল্ড
সংগৃহীত

দুই সোহেলের মধ্যে সোহেল রানাই কোচ কাবরেরার নিয়মিত একাদশের সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার। মোহাম্মদ সোহেল রানাকে কখনো সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে, কখনো অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে আবার কখনো ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডেও দেখা যায়। অবশ্য সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে বেশির ভাগ ম্যাচ খেলেছেন তিনি।

এখন দেখার অপেক্ষা, শেষ পর্যন্ত শমিত কোন পজিশনে খেলেন। সেন্ট্রাল মিডফিল্ড ছাড়াও আরও কয়েকটি পজিশনে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। এখন পর্যন্ত সেন্ট্রাল মিডফিল্ড পজিশনে ৮১ ম্যাচ খেলেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ ম্যাচ খেলেছেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে।

আরও পড়ুন

গত ২০ এপ্রিল জন্মনিবন্ধন সনদ হাতে পাওয়ার পর ১ মে পেয়েছিলেন কানাডা সকার অ্যাসোসিয়েশনের ছাড়পত্র। এরপর ৫ মে পেয়ে যান বাংলাদেশের পাসপোর্টও। গতকাল পেলেন ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির অনুমোদন। এখন আর বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে নামতে বাধা নেই।

আগামী জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হতে পারে শমিতের
সংগৃহীত

সব ঠিক থাকলে ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ দিয়ে লাল–সবুজের জার্সিতে অভিষেক হবে শমিতের। এর আগে ৩ থেকে ৪ জুন ঢাকায় আসার কথা রয়েছে তাঁর।

বাংলাদেশি মা–বাবার সন্তান শমিতের জন্ম ও বেড়ে ওঠা কানাডায়। ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার ২০২০ সালে কানাডা জাতীয় দলের হয়ে ২টি ম্যাচও খেলেছেন। লম্বা সময় আন্তর্জাতিক ফুটবল না খেলা শমিত ক্লাব ফুটবলে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল ক্যাভালরি এফসিতে খেলেন।

আরও পড়ুন