পিএসজিতে বিদায়ী ম্যাচেও মেসিকে সমর্থকদের দুয়ো

লিওনেল মেসিকে নিয়ে অনেক দিন ধরেই দুটি গুঞ্জন চলছে ফুটবল-বিশ্বে। অবশেষে এর একটির অবসান হয়ে গেল কাল। পিএসজি এবং মেসি, দুই পক্ষের কাছ থেকেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে—২ বছরের সম্পর্কের ইতি এখানেই। পিএসজিতে নিজের শেষটা সুন্দর হয়নি মেসির। বিদায়ী ম্যাচে হারের সঙ্গে পিএসজি সমর্থকদের একাংশের কাছ থেকে দুয়োও শুনতে হয়েছে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ককে।

গত পরশু পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের বলেছিলেন, ক্লেরমঁর বিপক্ষে মৌসুমের শেষ ম্যাচটিই হবে পিএসজির হয়ে মেসির শেষ ম্যাচ। তবে ক্লাবের পক্ষ থেকে তখন দাবি করা হয়, এটা পিএসজিতে মেসির শেষ ম্যাচ নয়, প্যারিসের দলটির হয়ে এ মৌসুমের শেষ ম্যাচ খেলবেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য গালতিয়েরের কথাটাই সত্যি হলো। গতকাল ম্যাচ শুরুর আগেই আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে পিএসজি জানায়, এটিই মেসির শেষ ম্যাচ। এ সময় মেসিকে ধন্যবাদ ও শুভকামনাও জানায় তারা।

আরও পড়ুন

তবে মাঠের চিত্রটা কিছুটা ভিন্ন ছিল। পার্ক দে প্রিন্সেন্সে যখন শুরুর একাদশে মেসির নাম ঘোষণা করা হয়, কিছু সমর্থক তাঁর উদ্দেশে দুয়ো দেন। এর কয়েক মিনিট পর তিন সন্তানের হাত ধরে মেসি মাঠে ঢোকেন। এর আগেই অবশ্য বিদায়বেলায় ক্লাব ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে মেসি বলেছেন, ‘আমি ক্লাব, প্যারিস শহর এবং এর মানুষদের এ দুই বছরের জন্য ধন্যবাদ দিতে চাই। আমি সবাইকে ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি।’

শেষ বেলায় সতীর্থদের সঙ্গে মেসি
ছবি: রয়টার্স

দুই মৌসুমে মেসি পিএসজির হয়ে দুটি লিগ শিরোপা এবং একটি ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছেন। এ সময়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩২ গোল করার পাশাপাশি ৩৫টি অ্যাসিস্টও করেছেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার। বিদায়ী বার্তায় মেসিকে ধন্যবাদ দিয়েছেন পিএসজি সভাপতি নাসের আল খেলাইফি।

আরও পড়ুন

তিনি বলেছেন, ‘প্যারিসে দুই মৌসুমের জন্য আমি লিও মেসিকে ধন্যবাদ দিতে চাই। পিএসজির জার্সিতে পার্ক দে প্রিন্সেন্সে দুই মৌসুমে মেসিকে দুটি লিগ শিরোপা জিততে দেখা এবং তরুণ খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করতে দেখাটা আনন্দের ব্যাপার ছিল। পিএসজির হয়ে তাঁর অবদানকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। মেসি এবং তাঁর পরিবারকে শুভকামনা।’

আরও পড়ুন

এদিকে পিএসজিতে থেকে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে বিদায় নিলেও মেসির পরবর্তী গন্তব্য এখনো নিশ্চিত নয়। মেসিকে পেতে চায় সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল, এমএলএসের ক্লাব ইন্টার মায়ামি ও স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। শেষ মুহূর্তে এসে নাকি আরও কিছু ইউরোপিয়ান ক্লাব মেসিকে পাওয়ার দৌড়ে শামিল হয়েছে।