দূষণ কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে বার্সা

জনকল্যাণমূলক অনেক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত বার্সেলোনা দলছবি : বার্সেলোনা ওয়েবসাইট

ফুটবলের মাধ্যমে অনেক জনকল্যাণমূলক কাজ করে আসছে বার্সেলোনা। দেড় দশকের বেশি সময় ধরে জাতিসংঘ জরুরি শিশু তহবিল ইউনিসেফকে সহযোগিতা করে আসছে বার্সা। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে সংস্থাটিকে ১৭ কোটি ৬৪ লাখ বার্ষিক অনুদান দিচ্ছে কাতালান ক্লাবটি। বর্তমানে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গেও কাজ করছে তারা।

এবার বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়েও ভাবতে শুরু করেছে বার্সা। দূষণ কমাতে উড়োজাহাজের পরিবর্তে দ্রুতগতির ট্রেনে ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাভি হার্নান্দেজের দল।

স্প্যানিশ লা লিগায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। অবিশ্বাস্য কিছু না ঘটলে তাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়া একরকম নিশ্চিত।

মেসি–পরবর্তী যুগে প্রথমবার লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আজ মাদ্রিদে যাচ্ছে বার্সা। তবে রিয়াল বা আতলেতিকোর বিপক্ষে নয়, মাদ্রিদেরই আরেক ক্লাব হেতাফের মুখোমুখি হবে তারা।

বার্সেলোনা থেকে দূরে কোথাও যেতে হলে সাধারণত আকাশপথ ব্যবহার করেন লেভানডফস্কি, বুসকেটস, টের স্টেগেনরা। তবে এবারের মাদ্রিদ যাত্রায় রেলপথ বেছে নিয়েছে বার্সা। দূষণ কমাতে এ সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন কোচ জাভি, ‘দূরত্ব অনেক বেশি হওয়ায় আমরা আগে কখনো ট্রেনে যাইনি। তবে আগামীকাল (আজ) আমাদের ম্যাচ বিকেল চারটায় (বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া আটটা)। ভ্রমণের জন্য এটা একটা আদর্শ দিন। এর মধ্য দিয়ে দূষণ কমানো যাবে।’

দ্রুতগতির ট্রেনে মাদ্রিদে যাবে বার্সেলোনা দল
ছবি : সংগৃহীত

আকাশপথে বার্সেলোনা থেকে মাদ্রিদের দূরত্ব ৫০৪ কিলোমিটার। বিমানে দেড় ঘণ্টায় পৌঁছানো সম্ভব। রেলপথেও দূরত্ব প্রায় একই, ৫০৬ কিলোমিটার। স্বাভাবিকভাবেই বিমানের চেয়ে দ্রুতগতির ট্রেনে পৌঁছাতে সময় বেশি লাগে। ট্রেনে পৌনে ৩ ঘণ্টা ভ্রমণ করতে হবে লেভা, গাভি, রাফিনিয়াদের। তবে জাভি মনে করেন, ভ্রমণের ধকল তাঁদের খেলায় কোনো প্রভাব ফেলবে না, ‘আমরা নিজ থেকে ট্রেনে যেতে চেয়েছি। এ ভ্রমণে কোনো সমস্যা হবে না। মাদ্রিদে পৌঁছেই আমরা ঘুমানোর সুযোগ পাব।’

আরও পড়ুন

মৌসুমের শুরুর দিকে ফ্রেঞ্চ ক্লাব পিএসজিকেও প্যারিসের আশপাশে ম্যাচ খেলার জন্য রেলভ্রমণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে দলটির কোচ ক্রিস্তোফ গালতিয়ের ও তারকা স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে এতে রাজি হননি। বিষয়টি নিয়ে বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন গালতিয়ের ও এমবাপ্পে।