‘বড়জোর ১ বছর বাঁচবেন’ এরিকসেন

ইংল্যান্ডের সাবেক কোচ সভেন–গোরান এরিকসনএএফপি

শরীরে বাসা বেঁধেছে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যানসার। অসুস্থতার কারণে ১১ মাস আগে সুইডেনের ক্লাব কার্লস্তাদের ক্রীড়া পরিচালকের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ইংল্যান্ডের সাবেক সুইডিশ কোচ সভেন-গোরান এরিকসন এবার জানালেন, বড়জোর আর এক বছর বাঁচবেন তিনি!

৭৫ বছর বয়সী ইংল্যান্ডের সাবেক কোচ এরিকসন সুইডিশ রেডিও পিওয়ানকে বলেছেন, ‘যত দিন পারি, আমি লড়াই করে যাব। আমার গুরুতর অসুস্থতা আছে। বড়জোর এক বছর (বাঁচব)। অবস্থা খারাপ হলে আরও কম। নির্দিষ্ট করে বলাটা অসম্ভব। তাই এ ব্যাপারে না ভাবাটাই ভালো।’

কোচিংসহ স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টে প্রায় ৪২ বছর কাজ করা এরিকসন এরপর বলেছেন, ‘হার মেনে নিয়ে নেতিবাচক হওয়া আর ঘরে বসে থাকাটা সহজ। ভালো হচ্ছে কঠিন সময়ে ইতিবাচক থাকা।’

আরও পড়ুন
কোচিংসহ স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টে প্রায় ৪২ বছর কাজ করেছেন এরিকসন
এএফপি

এরিকসনের স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টে দীর্ঘ ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৭৭ সালে নিজের দেশের ক্লাব ডেগেরফোর্সের কোচ হিসেবে। ক্লাবটিতে এক মৌসুম কাটানোর পর সুইডেনেরই আরেক দল গোথেনবার্গের দায়িত্ব নেন। সেখানে তিনি ১৯৮১ সালের উয়েফা কাপসহ জেতেন দুটি সুইডিশ কাপ।

সুইডেন-পর্ব শেষ করে পর্তুগালের ক্লাব বেনফিকার দায়িত্ব নেন তিনি। বেনফিকায় দুই মেয়াদে জেতেন পাঁচটি শিরোপা। কোচিং ক্যারিয়ারের ইতালিয়ান-অধ্যায়ে দাঁড়িয়েছেন রোমা, ফিওরেন্তিনা, সাম্পদোরিয়া ও লাৎসিওর ডাগআউটেও। একটি সিরি আ শিরোপাসহ ইতালিতে জিতেছেন মোট সাতটি ট্রফি।

আরও পড়ুন
২০০১ সালে লাৎসিও ছেড়ে ইংল্যান্ড দলের কোচের দায়িত্ব নেন এরিকসন
এএফপি

২০০১ সালে লাৎসিওর কোচের দায়িত্ব ছেড়ে তিনি নাম লেখান ইংল্যান্ড দলে। তিনিই ইংল্যান্ড দলের প্রথম বিদেশি কোচ। তাঁর অধীন খেলা ইংল্যান্ড ২০০২ ও ২০০৬ বিশ্বকাপ এবং ২০০৪ ইউরোতে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলে। চুক্তির মেয়াদ বাকি থাকলেও ২০০৬ বিশ্বকাপের পর দায়িত্ব ছেড়ে দেন এরিকসন।

ইংল্যান্ডের দায়িত্ব ছাড়ার পর এরিকসন ম্যানচেস্টার সিটি ও লেস্টারের পাশাপাশি মেক্সিকো, আইভরিকোস্ট ও ফিলিপাইনের কোচের পদে ছিলেন। ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তিনি কোচের দায়িত্ব পালন করেন চীনের ক্লাব গুয়াংজু আরঅ্যান্ডএফ, সাংহাই এসআইপিজি ও শেনঝেনের। সর্বশেষ তিনি কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন ফিলিপাইনে। ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি ফিলিপাইনের দায়িত্বে ছিলেন ১০ ম্যাচে।

আরও পড়ুন