এদেরসন-জ্যাক গ্রিলিশদের ৬৪ লাখ টাকার মদ্যপান

বাঁধ ভেঙে গেছে গ্রিলিশদের উদ্‌যাপনছবি: রয়টার্স

পার্টি, পার্টি আর শুধুই পার্টি!

ম্যানচেস্টার সিটিকে আপাতত এই একটি শব্দে ধারণ করা যায়। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে ‘ট্রেবল’ জয়ের পর আনন্দের বাঁধ ভেঙে গেছে সিটির খেলোয়াড়দের। গত শনিবার ইস্তাম্বুলে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে ‘ট্রেবল’ জয় নিশ্চিতের পর থেকেই পার্টি চলছে ‘সিটিজেন’দের।

ইস্তাম্বুল ও ইবিজা হয়ে ম্যানচেস্টার—এই পথে পার্টি চলেছে চার দিন ধরে। ম্যানচেস্টারে আসার পরও থামেনি পার্টি। উদ্‌যাপন চলেছে উন্মাতাল। তাতে দু–একটি অনাকাঙ্ক্ষিত কিন্তু মজার ঘটনাও ঘটেছে। সিটির পর্তুগিজ সেন্টার‌ব্যাক রুবেন দিয়াজ যেমন বমি করেছেন জ্যাক গ্রিলিশের মায়ের ব্যাগে!

আরও পড়ুন

ঘটনাটি জানিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির গোলকিপার এদেরসন। সংবাদমাধ্যম টিএনটি স্পোর্টসকে এদেরসন জানিয়েছেন, সিটির স্কোয়াডের অনেকেই মদ্যপান না করলেও উৎসব চলাকালীন অনেকেই তা ভুলে গিয়েছিলেন। গত সোমবার ম্যানচেস্টার সিটি সেন্টারের সামনে মেফিল্ডে ‘ট্রেবল’ জয়ের সর্বশেষ উৎসবটা করেছে সিটি। সেখানেই দুর্ঘটনাটি ঘটিয়ে ফেলেন দিয়াজ।

আগামীকাল রাত দেড়টায় প্রীতি ম্যাচে গিনির মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। ম্যাচটি খেলতে এদেরসন এখন জাতীয় দলের সঙ্গে। সেখানে সংবাদ সম্মেলনে সিটির উৎসব নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল এদেরসনকে। উত্তর দিতে গিয়ে রুবেন দিয়াজের প্রসঙ্গ তুলেছেন এদেরসন, ‘কয়েকজন খেলোয়াড় আছে, যারা মদ্যপান করে না কিন্তু সেই দিনটা ব্যতিক্রম ছিল। দিয়াজও তাই করেছিল কিন্তু সহ্য করতে পারেনি। দুই পেয়ালা খেয়েই সে বমি করেছে এবং কাকতালীয়ভাবে সেটাও গ্রিলিশের মায়ের ব্যাগে।’

ম্যান সিটি খেলোয়াড়দের উদ্‌যাপন
ছবি: রয়টার্স

ম্যানচেস্টার সিটির খেলোয়াড়দের এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের উৎসব নিয়েও মজার তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন। গত ২১ মে চেলসিকে হারিয়ে টানা তৃতীয় লিগ শিরোপা জয় নিশ্চিত করে সিটি। জ্যাক গ্রিলিশের বাবা কেভিন জানিয়েছেন, সেদিন রাতেই খেলোয়াড়েরা নিজেদের পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে টানেল ক্লাবে গিয়েছিলেন। সেখানে আকণ্ঠ মদ্যপানের বিল এসেছে ৪৭ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা)।

কেভিন এ নিয়ে কথা বলেছেন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘মিরর’ এর সঙ্গে। মেইল অনলাইন তাঁর উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে, ‘সত্যি বলতে সিটির উদ্‌যাপন ও পার্টিও চমৎকার ছিল। কয়েক সপ্তাহ আগে প্রিমিয়ার লিগ জয়ের পর টানেল ক্লাবে যে উৎসবটা হলো সেখানে বিল এসেছিল ৪৭ হাজার পাউন্ড। আমি রশিদ দেখেছি।’ কেভিন এই কথা বলার পরই আরেকটি তথ্য দিয়েছেন যেটি বেশ মজার, ‘প্রশ্নটা করার আগেই বলেই দিই, এটি জ্যাকের (গ্রিলিশ) একার বিল না। সেদিন রাতে সে আগেভাগেই বাড়ি ফিরেছে।’

আরও পড়ুন

সিটির এবার শিরোপা জয়ের উৎসবে মদ্যপান নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলেন সিটির অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার জ্যাক গ্রিলিশ। তাঁর ক্লাব সতীর্থ আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজ সিটির ‘ট্রেবল’ জয়ের উৎসবে সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘গ্রিলিশ সবরকম পানীয়ই পান করে।’ ছেলের এই ‘সুনাম’ যেন আর না ছড়ায় বিষয়টি নিশ্চিত করতেই সম্ভবত আগেভাগে রক্ষণাত্মক অবস্থান নিয়েছিলেন কেভিন।