এমবাপ্পেকে রিয়ালের সবাই ভুলে গেছে

১৪ বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পরছবি : রয়টার্স

দলের এমন সাফল্যে ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ চুপ থাকবেন, তা কী করে হয়!

আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে রিয়াল সভাপতির মনে। গতবার চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে এই ভিনিসিয়ুস-জাদুতেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল লিভারপুল, ব্রাজিলিয়ান এই উইঙ্গার করেছিলেন জোড়া গোল। এবারও ভিনিসিয়ুসের গোলেই এল চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা।

ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ।
ফাইল ছবি

কিছুদিন আগেই কিলিয়ান এমবাপ্পের কাছে প্রত্যাখ্যাত হওয়া রিয়াল মাদ্রিদ ভিনিসিয়ুসের ঝলকে এমবাপ্পের শহর থেকেই চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা নিয়ে ফিরেছেন—এই একটা কারণেই তো পেরেজের মুখের হাসি চওড়া হয়েছে আরও কয়েক গুণ!

আরও পড়ুন

ম্যাচের শেষে পেরেজের কথায়ও এমবাপ্পেকে নিয়ে সূক্ষ্ম খোঁটাই থাকল। মুভিস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পেরেজ জানিয়েছেন, ‘আমি শান্ত আছি, খুশি হয়েছি অনেক। মৌসুমজুড়ে অনেক পরিশ্রম করেছি আমরা, যার কারণে আজ যে অবস্থানে আছি সেখানে আসতে পেরেছি। রিয়াল মাদ্রিদ সব সময় বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের দলে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। তবে, বর্তমান আক্রমণভাগকে আরও ভালো করা কঠিন। আজ এই সাফল্যের পর এমবাপ্পেকে সবাই ভুলে গেছে। কিছুই হয়নি, রিয়াল মাদ্রিদ দুর্দান্ত একটি মৌসুম কাটিয়েছে, আর এমবাপ্পের ব্যাপারটা এখন অতীত। রিয়াল মাদ্রিদের সবাই পার্টি করতে ব্যস্ত।’

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পথে শুধু লিভারপুলই নয়, ইন্টার মিলান, চেলসি, পিএসজি, ম্যানচেস্টার সিটির মতো দলগুলোকেও পাশ কাটিয়ে একের পর এক ধাপ অতিক্রম করেছে রিয়াল। ফলে পেরেজের কাছে এই শিরোপা শতভাগ প্রাপ্য বলে মনে হচ্ছে, ‘আমরা অসাধারণ এক মৌসুম কাটিয়েছি। আমরা বিশ্বের সেরা দলগুলোর বিপক্ষে খেলেছি, তাদের হারিয়েছি। একের পর এক। এই চ্যাম্পিয়নস লিগ আমাদের প্রাপ্য। খেলোয়াড়-কোচ-সমর্থক সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই এসেছে এই শিরোপা।’

আরও পড়ুন

শুধু ভিনিসিয়ুসের কথা বললে গোলকিপার থিবো কোর্তোয়ার প্রতি যেন একটু অবিচারই করা হয়। গত রাতে যেভাবে সালাহ আর মানেদের শটগুলো একের পর এক সেভ করছিলেন, রিয়ালের জয়ের মূল নায়ক তো কোর্তোয়াই!

আরও পড়ুন

পেরেজের চোখে কোর্তোয়াই নিজের পজিশনে বিশ্বের সেরা, ‘কোর্তোয়ার সব কটি সেভই দুর্দান্ত। ম্যানসিটির বিপক্ষে সেভটাও, যেখানে তিনি পা দিয়ে গোল আটকেছিলেন। তিনি অসাধারণ একটা মৌসুম কাটিয়েছেন। তিনি বিশ্বের সেরা গোলকিপার। ঠিক এ কারণেই তাঁকে রিয়ালে আনা হয়েছিল। তিনি একজন সত্যিকারের মাদ্রিদিস্তা। আনচেলত্তি যখন বলেন, অন্যান্য খেলোয়াড়ের সঙ্গে রিয়াল খেলোয়াড়দের পার্থক্য যে রিয়ালের খেলোয়াড়েরা মাদ্রিদিস্তা— ঠিক কথাই বলেন।'

কিন্তু সব ছাপিয়ে এমবাপ্পের প্রতি পেরেজের বিরাগটাই যেন বেশি চোখে পড়ল!

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন