চোট নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলেছেন সালাহ

চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে না পেরে হতাশ সালাহছবি: টুইটার

মোহাম্মদ সালাহ মানেই যেন প্রতিদিন নতুন নতুন খবরের শিরোনাম। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের আগে শিরোনাম হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিতে চাওয়ার কথা বলে। ফাইনালে শিরোনাম হয়েছেন একের পর এক সুযোগ নষ্ট করে। ফাইনালের পর আবার খবর হয়েছেন এবার ব্যালন ডি’অর জেতার সম্ভাবনায় নিজের অবস্থান তুলে ধরে।

নিজে কথা না বললেও শিরোনাম হওয়া আটকাতে পারছেন না সালাহ। ফাইনালের আগে ওভাবে হুংকার দেওয়ায় সালাহকে নিয়ে যে নিজেদের মধ্যে রসিকতা করেছেন, সেটা জানিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের রদ্রিগো। তিনি বলেছেন, হারের পর লুকা মদরিচ গিয়ে তাঁকে ধন্যবাদ দিয়ে এসেছেন। আজ আবার খবরে সালাহ। এবারও প্রসঙ্গ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল। জানা গেছে, সেদিন ফাইনালে চোট নিয়ে খেলেছেন লিভারপুল ফরোয়ার্ড।

আরও পড়ুন
রিয়ালের বিপক্ষে টানা দুটি ফাইনালে হেরেছেন সালাহরা
ফাইল ছবি: রয়টার্স

চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের আগে বেশ ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে লিভারপুল। মৌসুমের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত লিগ শিরোপার দৌড়ে ছিল তারা। এফএ কাপের ফাইনালেও তারা খেলেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ঠিক আগে। ১৪ মের সে ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন সালাহ, মাঠ ছেড়ে বেরিয়েও গিয়েছিলেন। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল নিয়েও শঙ্কা জেগেছিল। তখন অবশ্য চোটটা গুরুতর কিছু নয় বলে জানানো হয়েছিল। লিগে পরের দুই ম্যাচে মাত্র ৩২ মিনিট খেলেছিলেন সালাহ।

তবে ২৮ মের ফাইনালে ঠিকই নেমেছেন, খেলেছেন পুরো ৯০ মিনিট। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের পরও ব্যস্ততা কমেনি সালাহর। মিসরের হয়ে আফ্রিকান কাপ নেশনসের বাছাইপর্ব খেলেছেন।

আরও পড়ুন

এখন জানা যাচ্ছে, পুরো সময়টাই চোট নিয়ে খেলেছেন সালাহ। মিসর দলের কোচ মোহামেদ আবু এল এলা টাইম স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘সালাহ এফএ কাপে অ্যাবডাক্টর পেশিতে চোট পেয়েছেন, এরপর আবার উলভসের বিপক্ষে খেলেছেন। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালেও খেলেছেন। সবই ১৪ দিনের মধ্যে। আমাদের কাছে একটি পরিসংখ্যান আছে, এই মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলারদের মধ্যে তিনি দুইয়ে আছেন।’

আরও পড়ুন
গিনির বিপক্ষে নেমেছিলেন মোহাম্মদ সালাহ (ডানে)
ফাইল ছবি

মিসর দলের চিকিৎসকের দাবি, লিভারপুলও জানত সালাহ শতভাগ সুস্থ নন, ‘খেলোয়াড় পাঠানোর সময় ও গ্রহণের সময় মেডিকেল রিপোর্ট থাকে। লিভারপুল বলেছে, ওর এখনো ব্যথা আছে এবং এক্স-রে করা হয় যেন। শতভাগ সুস্থ কোনো খেলোয়াড়ই নেই। কিন্তু একজন খেলোয়াড় কতটা চাপ নেবে, ঝুঁকি না বাড়িয়ে খেলতে পারছে কি না, সে প্রশ্নটা সব সময় করা উচিত। ক্লাব ভেবেছে, একটা ম্যাচই (দেশের হয়ে) যথেষ্ট। আমরা তাই গিনি ম্যাচটা বেছে নিয়েছি। কারণ, ইথিওপিয়া ম্যাচটা কঠিন হয়ে যায়। কারণ, অনেক দূরের যাত্রা সেটা। তিন দিনের মধ্যে আরেকটি ম্যাচ খেলতে পারত না সে।’

এই মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫১ ম্যাচ খেলেছেন সালাহ, এর ৪৫টিতেই একাদশে ছিলেন। মিসরের হয়ে খেলেছেন আরও ১৫ ম্যাচ।

আরও পড়ুন