বার্সেলোনা ছাড়ছেন দানি আলভেজ

ব্রাজিলিয়ান রাইটব্যাক দানি আলভেজছবি: টুইটার

কাতার বিশ্বকাপে খেলার ভাবনাটা মনে মনে পুষে রেখেছেন দানি আলভেজ। ৩৯ বছর বয়সে এসে সে কাজটি মোটেও সহজ হবে না তাঁর জন্য। খেলার মধ্যে থাকতে বার্সেলোনায় আরও কিছুদিন থেকে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল আলভেজের।

কিন্তু বার্সা তাঁর অনুরোধ রাখেনি। নতুন চুক্তির প্রস্তাব দেয়নি ব্রাজিলিয়ান রাইটব্যাককে। অগত্যা দ্বিতীয়বারের মতো কাতালান ক্লাবটি ছাড়তে হচ্ছে আলভেজকে।

আরও পড়ুন

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ ও ‘স্পোর্ত’ জানিয়েছে, আলভেজকে গতকাল স্থানীয় সময় সকালে বার্সেলোনা জানিয়ে দেয়, তাঁর সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা হবে না। কাতার বিশ্বকাপ যেহেতু নভেম্বরে শুরু হচ্ছে, বার্সায় অন্তত এ বছরের শেষ পর্যন্ত থাকতে চেয়েছিলেন শিরোপা জয় বিচারে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল এই ফুটবলার।

অনুরোধ করেছিলেন, এ বছরের শেষ পর্যন্ত যেন চুক্তি নবায়ন করা হয়। কিন্তু কাতালান ক্লাবটি তাতে রাজি হয়নি। চলতি মাস ফুরোনোর সঙ্গে বার্সায় আলভেজের বর্তমান চুক্তির মেয়াদও ফুরোবে।

গত বছরের নভেম্বরে বার্সায় ফিরে আসেন আলভেজ
ছবি: টুইটার

সেভিয়া থেকে ২০০৮ সালে প্রথম মেয়াদে বার্সায় যোগ দেন আলভেজ। ২০১৬ সালে জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার আগে বার্সার হয়ে প্রায় সব শিরোপাই জিতেছেন। ছয়বার লা লিগা, তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগ, উয়েফা সুপার কাপও জিতেছেন তিনবার। গত বছরের নভেম্বরে শীতকালীন দলবদলে আলভেজকে মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য ফ্রি ট্রান্সফারে ফিরিয়ে আনে বার্সা।

গত মাসেই আলভেজ জানিয়েছিলেন, তিনি ঠিক জানেন না মৌসুমের শেষ ম্যাচটি বার্সায় তাঁর জন্যও শেষ ম্যাচ হবে কি না। বার্সায় ফিরে ১৭ ম্যাচ খেলেছেন আলভেজ, এর মধ্যে ১৬ ম্যাচেই ছিলেন দলের মূল একাদশে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

চেলসি থেকে রাইটব্যাক সিজার আজপিলিকুয়েতাকে নিয়ে আসতে আত্মবিশ্বাসী বার্সা। এ কারণে সে পজিশনে আলভেজকে আর ধরে রাখার প্রয়োজন মনে করছে না বার্সা—খবরটি জানায় স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম।

দ্বিতীয়বারের মতো বার্সা ছাড়ার খবরটি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে কালই জানিয়ে দেন আলভেজ, ‘প্রিয় বার্সা সমর্থকেরা, বিদায় বলার সময় হয়েছে। আট বছরের বেশি সময় আমি এই ক্লাবকে সব নিংড়ে দিয়েছি। কিন্তু জীবনে যেমন বছর ঘোরার সঙ্গে চলার পথও পাল্টে যায়, আমাদের গল্পগুলোও যেমন অন্য কোথাও লেখা হয়—এখানেও ঠিক তাই ঘটল। আমাকে ফিরিয়ে বিদায় বলার সুযোগটা যারা দিয়েছিলেন তাদের ধন্যবাদ। কিন্তু যাদের সঙ্গে এতটা দিন খেলে এসেছি তাদের ধন্যবাদ জানানোর আগে আমি বিদায় বলতে পারছি না। সবাইকে ধন্যবাদ। ক্লাবের স্টাফদেরও ধন্যবাদ জানাই। তারা আমাকে ফিরিয়ে এনে প্রিয় জার্সিটি পরার সুযোগ করে দিয়েছেন। কতটা সুখী লেগেছে তা বোঝাতে পারব না। আশা করি তারা আমার পাগলামো আর মিস করবে না। ক্লাবে যারা আছেন আশা করি তারা বার্সার গল্পটা পাল্টাতে পারবেন। আশা করি এই বিশ্ব যেন ভুলে না যায়, একটা সিংহ ৩৯ বছর বয়সেও পাগলাটে সিংহই থাকে।’

আরও পড়ুন