শুটিংয়ের ক্যাম্প বন্ধ নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন আগের কমিটির

২১ দিন চলার পর বন্ধ হয়ে সাফ গেমসের শুটিংয়ের ক্যাম্পপ্রথম আলো ফাইল ছবি

দক্ষিণ এশীয় গেমস (এসএ) সামনে রেখে ১ জুলাই শুরু হওয়া বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের প্রস্তুতি ক্যাম্প বন্ধ হয়ে গেছে ২১ দিন পরই। ফেডারেশনের বর্তমান কর্মকর্তারা যদিও দাবি করেছেন, অর্থাভাব এবং আগের কমিটি রাইফেল–পিস্তল বুঝিয়ে না দেওয়াতেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ক্যাম্প। আগের কমিটি বলছে ভিন্ন কথা।

ফেডারেশনের আগের কমিটির উপমহাসচিব মুশতাক ওয়াইজ আজ প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, অর্থাভাবে ক্যাম্প বন্ধ হওয়ার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, ‘ফেডারেশনের প্রায় ১ কোটি ৩৫ লাখের মতো এফডিআর করা আছে ব্র্যাক ব্যাংকে। এটা ইন্টারেস্টসহ এখন আরও বেশি হবে, কম হবে না। এর বাইরে চলতি হিসাবে আছে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এসব যদি বাদও ধরি ফেডারেশন কিন্তু এনএসসি থেকে গেমসের প্রস্তুতির জন্য ২২ লাখ টাকার মতো পেয়েছে। তাহলে টাকার সমস্যা তো হওয়ার কথা নয়!’ এত টাকা থাকার পরও কেন আর্থিক সংকটে ক্যাম্প বন্ধ হবে, প্রশ্ন ওয়াইজের। বর্তমান কমিটিকে এসব অর্থ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশকে বড় সাফল্য এনে দিয়েছে শুটিং। ছবিটি ২০১৮ সালে কমনওয়েলথ গেমসে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে আবদুল্লাহ হেল বাকি রুপা জয়ের পর
এএফপি

এর আগে ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক জি এম হায়দার প্রথম আলোকে বলেছিলেন, টাকা নেই বলে বাধ্য হয়েই ক্যাম্প বন্ধ করতে হয়েছে তাঁদের। ব্যাংকেও নাকি লেনদেন করতে পারছেন না। কিন্তু গত কমিটির উপমহাসচিব বলেন, ‘কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দিলে সব ঠিকঠাক করতে দুদিন সময় লাগবে। অথচ আজ ১৩ দিন হয়ে গেল, তারা ক্যাম্প শুরু করতে পারছে না!’

আরও পড়ুন
আমরা স্টোরের দুটি চাবি যখন বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য যাই, তখন তাঁরা বুঝে নেননি। তাঁরা ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে স্টোর বুঝে নেবেন বলে জানিয়েছেন।
মুশতাক ওয়াইজ, আগের কমিটির উপমহাসচিব

হায়দার রাইফেল-পিস্তল বুঝে নেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে বলেছিলেন, ‘কতগুলো গুলি আছে, কাকে কাকে দেওয়া হয়েছে, অবশিষ্ট কী আছে...এগুলোর জবাব দিতে হবে না?’ কিন্তু রাইফেল-পিস্তল লকারে থাকার বিষয়েও আগের কমিটির কোনো দায় খুঁজে পাচ্ছেন না ওয়াইজ। তিনি জানান, রাইফেল-পিস্তলের স্টোরের চাবি বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বর্তমান কমিটিই তা বুঝে নেয়নি, ‘আমরা স্টোরের দুটি চাবি যখন বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য যাই, তখন তাঁরা বুঝে নেননি। তাঁরা ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে স্টোর বুঝে নেবেন বলে জানিয়েছেন।’

আরও পড়ুন