বাবার ইচ্ছা পূরণের পথে তাহসিন, লক্ষ্য আন্তর্জাতিক নর্ম

বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে অন্তত একবার হলেও বিশ্ব অনূর্ধ্ব-২০ দাবায় খেলবেন। বাবা নিজেও একবার এই টুর্নামেন্টে খেলেছিলেন। অবশেষে বাবা জিয়াউর রহমানের পথ ধরে ছেলে তাহসিন তাজওয়ার জিয়া খেলছেন ২৫ ফেব্রুয়ারি মন্টেনেগ্রোয় শুরু হতে যাওয়া বিশ্ব অনূর্ধ্ব-২০ দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে।

রোববার ভোরে মন্টেনেগ্রো রওনা হচ্ছেন ফিদে মাস্টার তাহসিন। জাতীয় চ্যাম্পিয়ন আন্তর্জাতিক মাস্টার মনন রেজাও যাচ্ছেন একসঙ্গে। দুজনই বিশ্ব অনূর্ধ্ব-২০ দাবায় অংশ নিচ্ছেন প্রথমবার এবং তা নিজস্ব খরচে।

সম্প্রতি তাহসিনকে এক বছরের জন্য প্রায় ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ( বিসিবি)। মননও স্পনসর পেয়েছেন। দুজনেরই লক্ষ্য ভালো কিছু করা। মননের চোখ নিজের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নর্মে। তাহসিন চান আন্তর্জাতিক নর্ম। প্রথম আলোকে আজ তাহসিন যেমন বলেন, ‘চেষ্টা থাকবে সেরা ২০-এ থাকার। ভালো খেলার চেষ্টা করব প্রতিটি ম্যাচে। আর অবশ্যই আন্তর্জাতিক মাস্টার নর্ম করতে চাই।’

আরও পড়ুন

বাবার ইচ্ছা পূরণে তাহসিন মন্টেনেগ্রো যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে আজ সন্ধ্যায় জিয়া স্মৃতি রেটিং দাবায় ২০০০ রেটিং ঊর্ধ্ব বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। প্রয়াত গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের নামে টুর্নামেন্টটি হয়েছে দাবা ফেডারেশনে। শেষ রাউন্ডে ওয়াদিফা আহমেদের সঙ্গে তাহসিন ড্র করেন।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মাস্টার আবু সুফিয়ান শাকিলের সঙ্গে শেষ রাউন্ডে ড্র করেন সাকলাইন মোস্তফা। তাহসিন-সাকলাইন দুজনের পয়েন্ট নয় ম্যাচে সাত। কিন্তু এই প্রতিযোগিতায় সাকলাইনের বিপক্ষে মুখোমুখি ম্যাচে জেতায় তাহসিন চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।

প্রয়াত গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তাঁর ছেলে তাহসিন তাজওয়ার
প্রথম আলো ফাইল ছবি

মন্টেনেগ্রো যাত্রায় আগে বাবার নামে হওয়া টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে তাহসিনের। মন্টেনেগ্রো যাত্রায় তাঁর সঙ্গী হচ্ছেন মা তাসমিন সুলতানাও। তাসমিন বেশ আপ্লুত ছেলের বিশ্বকাপ যাত্রা নিয়ে, ‘জিয়া তাহসিনকে বলেছিল, ২০ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই একবার হলেও বিশ্ব জুনিয়রে খেলতে। এত দিন ও পারেনি নানা কারণে। অবশেষে শেষ বছরে ( বয়স চলছে ২০) যাচ্ছে। জিয়ার ইচ্ছা পূরণ করতে পেরে ভালো লাগছে আমাদের।’

আরও পড়ুন

ফিদের নিয়ম অনুযায়ী অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব জুনিয়র দাবায় ছেলে ও মেয়েদের বিভাগে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়ন সাকলাইন মোস্তফা ও ওয়াদিফা আহমেদের নাম নিবন্ধন করেছিল বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন।

প্রতিযোগিতায় তাঁদের অংশ নেওয়ার খরচ দেওয়ার কথা ছিল আয়োজকদের। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও এগোয়। কিন্তু দুজন মন্টেনেগ্রোর ভিসা জোগাড় করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত অংশ নিতে পারছেন না। দুর্ভাগ্যই সাকলাইন আর ওয়াদিফার, শেষ ভরসা হিসেবে মন্টেনেগ্রোর অন অ্যারাইভাল ভিসার আশ্বাসও পাননি।