শতাব্দীর সেরা লাফের পদক বিক্রি হলো ৫ কোটি টাকায়

১৯৬৮ মেক্সিকো অলিম্পিকে দীর্ঘ লম্ফ ইভেন্টে জেতা বব বিমনের স্বর্ণপদকএএফপি

১৯৬৮ মেক্সিকো অলিম্পিকে দীর্ঘ লম্ফে ২৯ ফুট লাফিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন বব বিমন। সেই ইভেন্টে জেতা সোনার পদকের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ হলো যুক্তরাষ্ট্রের এই কিংবদন্তির। পদকটি তিনি নিলামে তোলার পর গতকাল তা ৪ লাখ ৪১ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা ৪ কোটি ৮৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন

নিউইয়র্কে নিলাম প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টিতে পদকটি নিলামে তোলার আগে ৭৭ বছর বয়সী বিমন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘এখন এটা (পদক) হাতবদলের সময়।’

তাঁর সেই লাফ ঐতিহাসিক এবং ‘শতাব্দীর সেরা লাফ’ বলা হয়। মোট ৮.৯ মিটার কিংবা ২৯ ফুট সোয়া ২ ইঞ্চি দূরত্ব লাফ দিয়ে পার হয়েছিলেন বিমন। এই ইভেন্টে আগের রেকর্ডটি ভেঙেছিলেন ২২ ইঞ্চি দূরত্বে এগিয়ে থেকে। ১৯৯১ টোকিও বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের আগপর্যন্ত বিশ্ব রেকর্ড ছিল বিমনের সেই লাফ। সেবার ২৯ ফুট সোয়া ৪ ইঞ্চি দূরত্ব লাফিয়ে বিমনের রেকর্ড ভেঙেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রেরই সাবেক ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলেট মাইক পাওয়েল।

১৯৬৮ মেক্সিকো অলিম্পিকে দীর্ঘ লম্ফ ইভেন্টে লাফ দিচ্ছেন বব বিমন
এএফপি

খেলাধুলায় জেতা বিভিন্ন পুরস্কার এখন অনেকেই নিলামে তোলেন। ক্রিস্টির বিশেষজ্ঞরা বিমনের পদকের আনুমানিক দাম ধরেছিলেন ৪ লাখ থেকে ৬ লাখ ডলারের মধ্যে। বিমন আশা প্রকাশ করেছিলেন, এই পদক যিনি নিলামে কিনবেন, তিনি ‘অ্যাথলেটিক অর্জনের গুরুত্বটা বুঝবেন’। এএফপিকে বিমন আরও বলেছেন, ‘পদকটি দেখানোর দারুণ একটা উপায় হলো নিলামে তোলা। তবে স্মৃতিটা সংরক্ষণ করাও লক্ষ্য।’

আরও পড়ুন

পদকটি কে কিনেছেন, সেটি ক্রিস্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। কর এবং নিলাম ঘরের ফি বাদে পদকটির প্রকৃত দাম উঠেছে সাড়ে তিন লাখ ডলার।

১৯৬৮ অলিম্পিকের দীর্ঘ লম্ফ ইভেন্টের বাছাইপর্বে দুবার ওভারস্টেপিং করায় বিমনের চূড়ান্ত পর্বে ওঠা নিয়েই সংশয় ছিল। তবে ১৯৬৮ সালের ১৮ অক্টোবরের সেই ‘অসাধারণ দিন’টি ভুলে যাননি বিমন। দিনটি নিয়ে বলেছেন, ‘সেদিন...সবকিছুই নিখুঁত ছিল আমার জন্য। বাতাসও আমার অনুকূলে ছিল। আবহাওয়াও অনুকূলে ছিল। লাফ দেওয়ার পর বৃষ্টি নেমেছে। প্রাথমিক বাছাইয়ে কিছু ভুল করেছিলাম। চূড়ান্ত পর্বে লক্ষ্য ছিল, একটি নিখুঁত ও বৈধ লাফ দেব। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, এটা শুধু লাফ ছিল না, ইতিহাসের একটি মুহূর্ত হয়ে যায়।’

আরও পড়ুন