জোকোভিচ ও আলকারাজের বাবাকে নিয়ে উইম্বলডনে ‘স্পাইগেট’ বিতর্ক

স্পেনের তারকা কার্লোস আলকারাজছবি: এএফপি

বন্ধু হোলগার রুনেকে পরশু ৭-৬ (৭/৩), ৬-৪, ৬-৪ গেমে হারিয়ে উইম্বলডনের সেমিফাইনালে ওঠার পর সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটির সম্মুখীন হন কার্লোস আলকারাজ। তাঁর বাবা কার্লোস আলকারাজ সিনিয়র কি সত্যিই গুপ্তচরবৃত্তি করেছেন? র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানীয় টেনিস তারকা স্বীকার করেছেন, তাঁর বাবার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেটা ‘সম্ভবত সত্য’।

আরও পড়ুন

তবে আলকারাজের কথায় বোঝা যায়, কাজটা তাঁর চোখে গুপ্তচরবৃত্তি নয়। আলকারাজের ভাষায়, তাঁর বাবা টেনিসের খুব বড় ভক্ত। খেলার প্রতি প্রচণ্ড টান থেকেই কাজটি করেছেন। শুধু ছেলের খেলাই দেখেন না, অন্যান্য ম্যাচ এবং অনুশীলনও দেখেন কার্লোস আলকারাজ সিনিয়র। সেই উৎসাহ থেকেই নোভাক জোকোভিচের অনুশীলন ভিডিও করেছেন তিনি। এ নিয়ে ফিসফাস শুরু হওয়ায় কাল সংবাদ সম্মেলনে বাবার পক্ষে র‌্যাকেট ধরতে হয়েছে স্পেনের শীর্ষ বাছাইকে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ এই ঘটনার নামও দিয়েছে ‘স্পাইগেট’। সেটি অবশ্য জোকোভিচ অভিযোগ তোলার পর। আরোঙ্গি পার্কে তাঁর অনুশীলন ভিডিও করেন কার্লোস আলকারাজ সিনিয়র। এ নিয়ে সার্বিয়ান তারকার অভিযোগ, অনুশীলনে প্রত্যাশিত ব্যক্তিগত গোপনীয়তা (প্রাইভেসি) তিনি পাননি।

কার্লোস আলকারাজ সিনিয়র (বাঁয়ে)
ফাইল ছবি

মঙ্গলবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে এসে অভিযোগ তোলেন উইম্বলডনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ, ‘অনুশীলনে আমাদের কোনো গোপনীয়তা নেই। কখনো কখনো গোপনীয়তার প্রয়োজন হয়। তাতে নতুন কিছু চেষ্টা করার সুযোগটা পাওয়া যায়। নিজের দলের সঙ্গে বসে ঠিকঠাক পরামর্শটা করা যায়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, স্বস্তিতে থাকার সুযোগ নেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা কীভাবে নিজেদের প্রস্তুত করছে, তা সবাই জানতে চায়। আলকারাজ কিংবা অন্য যে কারও মুখোমুখি হওয়ার আগে একটু বিশ্লেষণ কাজে লাগেই। আর আমার কাছে অনুশীলন তো ম্যাচের মতোই। ম্যাচের মানসিকতা নিয়েই নিজেকে প্রস্তুত করি।’

আরও পড়ুন

সেমিফাইনালে নোভাক জোকোভিচের প্রতিপক্ষ ইয়ানিক সিনার। অন্য সেমিফাইনালে দানিল মেদভেদেভের মুখোমুখি হবেন আলকারাজ। অর্থাৎ, সেমিফাইনাল বাধা টপকাতে পারলে ফাইনালে মুখোমুখি হবেন জোকোভিচ ও আলকারাজ। জোকোভিচ ওদিক থেকে ফাইনালে উঠবেন, আর ছেলে উঠবে এদিক থেকে—এমন বিশ্বাস নিয়েই তাহলে জোকোভিচের অনুশীলন ভিডিও করেছেন আলকারাজের বাবা?

এমন গুঞ্জন শুরু হওয়ায় সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন আলকারাজ। উইম্বলডনে নিজের প্রথম সেমিফাইনালে উঠে ২০ বছর বয়সী তারকা বিষয়টি ব্যাখ্যা করলেন এভাবে, ‘এটা (অভিযোগ) সম্ভবত সত্য। আমার বাবা টেনিসের খুব বড় ভক্ত। তিনি শুধু ম্যাচই দেখেন না। আমার ধারণা, তিনি বেলা ১১টায় ক্লাবে ঢুকে রাত ১০টায় বের হন। সবার ম্যাচ দেখেন, অনুশীলনও দেখেন। আর জোকোভিচকে চোখের সামনে দেখা...হ্যাঁ, এটা সম্ভবত সত্য যে তিনি ভিডিও করেছেন।’

নোভাক জোকোভিচ
ছবি: রয়টার্স

তা, বাবার ভিডিও থেকে আলকারাজ কতটা লাভবান হতে পারবেন? প্রশ্নটিতে স্প্যানিশ তারকা যেন একটু চমকে যান, ‘আমার মনে হয় না। জোকোভিচের খেলার বিভিন্ন ভিডিও আমার কাছে আছে। এতে লাভবান হওয়ার সুযোগ নেই।’

উইম্বলডনে মেয়েদের এককে কাল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন এলেনা রিবাকিনাকে ৬-৭ (৫/৭), ৬-৪, ৬-১ গেমে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছেন তিউনিসিয়ার ওনস জাবুর। গত বছর ফাইনালে রিবাকিনার কাছেই হেরেছিলেন জাবুর।

আরও পড়ুন