বর্ণবাদের অভিযোগ, পদত্যাগ স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের
স্কটল্যান্ড ক্রিকেটে প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদের অভিযোগ উঠেছিল গত বছর। এরপর গঠিত নিরপেক্ষ একটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা আগামীকাল। তবে এর আগেই পদত্যাগ করল স্কটল্যান্ডের পুরো ক্রিকেট বোর্ড। আজ টুইটারে নিজেদের পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে তারা।
গত বছর স্কাই স্পোর্টসে ক্রিকেট স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বর্ণবাদের অভিযোগটি তোলেন দেশটির হয়ে ২০০টির বেশি ম্যাচ খেলা মজিদ হক। সাবেক অফ স্পিনারের অভিযোগে সমর্থন দিয়েছিলেন তাঁর সতীর্থ কাশিম শেখও। এরপর গত বছরই স্কটল্যান্ডের জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা স্পোর্টস্কটল্যান্ডের তহবিলে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। জানা গেছে, ক্রিকেট স্কটল্যান্ডকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বর্ণবাদী হিসেবে খুঁজে পেয়েছে তারা। সেটিরই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা আগামীকাল।
তবে এর আগেই আজ সকালে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছে ক্রিকেট স্কটল্যান্ড। সে চিঠিটিও নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে তারা। সে চিঠিতে আরেকবার দুঃখ প্রকাশ করেছে তারা, ‘এ প্রতিবেদন থেকে যা আসবে, সেসব কার্যকরী করতে বোর্ড বদ্ধপরিকর ছিল। যারাই ক্রিকেট স্কটল্যান্ডে বর্ণবাদ অথবা যেকোনো ধরনের বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তাঁদের কাছে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি এবং এর আগেই প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছি।’
এখন পর্যন্ত এ প্রতিবেদন তাদেরকে দেখানো হয়নি, এমন দাবি করেছে ক্রিকেট স্কটল্যান্ড। এরপরও তাদের পদত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে এভাবে, ‘প্রস্তাবিত সময়সীমা ও কিছু পদক্ষেপের ব্যাপারে বোর্ড এখন ওয়াকিবহাল। তবে যে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, তাতে বর্তমান কাঠামোতে থেকে সেসব অর্জন করা সম্ভব নয়। ফলে আমাদের বিশ্বাস, সামনের দিনগুলোতে প্রয়োজনীয় উন্নতির জন্যই আমাদের সরে দাঁড়ানো উচিত।’
এদিকে ক্রিকেট স্কটল্যান্ডের এমন সিদ্ধান্তের পর স্পোর্টস্কটল্যান্ডের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ‘স্কটিশ ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার জন্যই অভাবনীয় এক কঠিন সময় এটি। আমরা বোর্ডের সিদ্ধান্ত জেনেছি। খেলার জাতীয় সংস্থা হিসেবে আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেব ক্রিকেট স্কটল্যান্ডকে।’
এর আগে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে বর্ণবাদের অভিযোগ তোলেন সাবেক ক্রিকেটার আজিম রফিক। ইংলিশ ক্রিকেটকেই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বর্ণবাদী বলেন তিনি। রফিকের সে অভিযোগ গড়ায় সংসদীয় কমিটি পর্যন্ত। রফিকের অভিযোগের পর ইয়র্কশায়ারের মাঠ হেডিংলিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন করা থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়। বদলে যায় ক্লাবটির পরিচালনা কমিটিও।