এমন শিরোনাম অদ্ভুত মনে হতে পারে। কারণ অনেকে কম্পিউটারে মাইক্রোসফট অফিস স্যুটের সফটওয়্যার অর্থাৎ ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট বিনা মূল্যেই ব্যবহার করেন। তবে সেগুলো যে পাইরেটেড সংস্করণ, তা অনেকে জানেন, আবার অনেকে না জেনেই ব্যবহার করছেন।
পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারের বড় ঝুঁকি ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে। হ্যাকাররা এই সফটওয়্যারগুলোর ‘ক্র্যাকড ভার্সন’ ছড়িয়ে দিয়ে মানুষের কম্পিউটার থেকে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার পথ তৈরি করেন। সেটা একটা দিক। আরেকটি দিক হলো, হাজারো মানুষের মেধা ও শ্রমে তৈরি হয় সফটওয়্যার। চট করে সেটার পাইরেটেড কপি জোগাড় করে ব্যবহার করা মানে ওই মানুষগুলোর মেধার মূল্য না দেওয়া। আজ ২৬ এপ্রিল, বিশ্ব মেধাস্বত্ব দিবসে চলুন জানা যাক, সৃজনশীল মানুষগুলোর মেধার মূল্য দিয়েও যেভাবে আমরা ওয়ার্ড-এক্সেলের মতো সফটওয়্যারগুলো বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারি।
মাইক্রোসফট অফিস স্যুটের সফটওয়্যারগুলো বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায় অনলাইনে। ডেস্কটপ সংস্করণ আর অনলাইন সংস্করণের ইউজার ইন্টারফেস অনেকটা কাছাকাছি, সব না হলেও সাধারণ সুবিধাগুলোর বেশির ভাগ অনলাইনে রয়েছে। বড় সুবিধার আরেকটি হলো, অনলাইনে সংস্করণে ওয়ার্ড-এক্সেল ফাইলগুলো সরাসরি এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়ান ড্রাইভে বিনা মূল্যে (৫ গিগাবাইট পর্যন্ত) সংরক্ষণ করা যায়। অর্থাৎ আপনি যেখানেই থাকুন, ইন্টারনেট–সংযোগ থাকলে যেকোনো কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থেকে সে ফাইল দেখতে কিংবা সম্পাদনা করতে পারবেন। চাইলে অন্য কাউকে সম্পাদনার আহ্বান জানাতেও পারবেন। প্রয়োজনে নামিয়ে কম্পিউটারে সংরক্ষণও করা যায়।
আগেই বলা হয়েছে, ওয়ার্ড-এক্সেলের অনলাইন সংস্করণ ব্যবহার করতে চাইলে ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন। আর প্রয়োজন একটি মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট। যেকোনো ওয়েব ব্রাউজার থেকে www.office.com ঠিকানার ওয়েবসাইটে গিয়ে বিনা মূল্যে অ্যাকাউন্ট তৈরি কিংবা বিদ্যমান অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লগইন করুন। সেখানে আপনার ওয়ান ড্রাইভে থাকা ফাইলগুলো দেখাবে।
এবার বাঁ দিকের প্যানেল থেকে যে সফটওয়্যার ব্যবহার করতে চান, সেটি নির্বাচন করুন। ধরুন, আমরা ওয়ার্ড ব্যবহার করতে চাই। বাঁ দিক থেকে ‘ওয়ার্ড’ নির্বাচন করুন। এরপর ‘নিউ ব্ল্যাংক ডকুমেন্ট’ নির্বাচন করলে নতুন একটি ফাইল খুলবে। চাইলে পূর্বনির্ধারিত টেম্পলেট নির্বাচন করতে পারেন। মোর টেম্পলেটে ক্লিক করলে আরও টেম্পলেট পাবেন। অনলাইন ওয়ার্ড ফাইলে কিছু লিখলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষণ (সেভ) হবে। আর ফাইলের নাম পরিবর্তনের জন্য ওপরের বাঁ দিকে ‘সেভড টু ওয়ানড্রাইভ’ লেখায় ক্লিক করে নতুন নাম ঠিক করে দিতে পারেন।
স্মার্টফোনেও মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন বিনা মূল্যে। নামিয়ে নিয়ে পারেন অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর কিংবা গুগল প্লে স্টোর থেকে।