এখনো অধরা ইন্টারনেট!

ইন্টারনেট সুবিধার বাইরেই বেশি লোক
ইন্টারনেট সুবিধার বাইরেই বেশি লোক

হয়তো চলতি বছরের শেষ নাগাদ ৩২০ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আসবে কিন্তু বিশ্বে ইন্টারনেটের বাইরে থেকে যাবে এর চেয়েও বেশি সংখ্যক মানুষ। বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ওয়েবে সংযুক্তির বিষয়টি ক্রমশ বাড়ার পরও ৪০০ কোটি মানুষ মানুষ অফলাইনে থেকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ)।
আইটিইউয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪০ কোটি থেকে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ৩২০ কোটিতে গিয়ে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু তারপরও বাদবাকি কয়েকশ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সেবা বিশেষ করে ই-মেইল, খুদে বার্তা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ডিজিটাল ম্যাপ বা পরিসংখ্যানের মতো সেবাগুলোর বাইরেই থেকে যাবে।
স্থানীয় ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মিলে ফেসবুক আর গুগলের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ভবিষ্যতের বাজারগুলোতে বিনা মূল্যে ও সস্তায় ইন্টারনেট সেবা প্রদানের কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। কৃত্রিম উপগ্রহ কিংবা বেলুনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার কিছু উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনাও চালু করা হয়েছে।

ইন্টারনেট ডট ওআরজি ও গুগলের প্রজেক্ট লুনের মতো সেবাগুলো এখনো শুরুর দিকে রয়েছে। আইটিইউ জানিয়েছে, ২০০০ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় সাত গুন বেড়েছে। ২০০০ সালে যেখানে বিশ্বের মাত্র ৬ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করত, ২০১৫ সালে তা প্রায় ৪৩ শতাংশ।
আইটিইউয়ের মহাসচিব জেনারেল হাউলিন ঝাও এক বিবৃতিতে জানান, ‘সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তির যে উত্তরোত্তর উন্নতি হচ্ছে, এ পরিসংখ্যান শুধু সেটিই তুলে ধরে না, দ্রুত বিস্তারের নব্য ডিজিটাল অর্থনীতিতে কারা পিছিয়ে রয়েছে, সেটি চিহ্নিত করতে আমাদের সাহায্য করছে।’
মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়ে আইটিইউ জানিয়েছে, এ বছরান্তে বিশ্বে মোবাইল গ্রাহক হবে ৭০০ কোটি। ২০০০ সালে গ্রাহকসংখ্যা ১০০ কোটি।
আইটিইউ আরও জানায়, মোবাইল ব্যবহারে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৭ শতাংশ। এ বছরান্তে ৬৯ শতাংশ মোবাইল গ্রাহক থ্রিজি সেবা আওতায় আসবে। ২০১১ সালে ৪৫ শতাংশ গ্রাহক থ্রিজি সেবা পেত। এ ছাড়া গ্রামে এলাকায় বসবাসকারী প্রায় ৩৪০ কোটি মোবাইল গ্রাহকের মধ্যে ২৯ শতাংশ গ্রাহক থ্রিজি সেবার আওতায় আসবে।
আইটিইউর টেলিযোগাযোগ উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালক ব্রাহিমা সানাও বলেন, ‘একটি ডিজিটাল সমাজের দিকে বিশ্ব দ্রুত এগিয়ে চলছে। ভবিষ্যতের টেকসই উন্নয়ন অর্জনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ২০১৫ সালের পরবর্তী সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রত্যেকের জন্য তথ্য সমাজ প্রতিষ্ঠা ও তাতে সবাইকে যুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য।’