আটকের দুই মাস পর মার্কিন সেনাকে ছেড়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া

সেনা ট্রাভিস কিংকে ছেড়ে দিয়েছে পিয়ংইয়ং
ছবি: রয়টার্স

বিনা অনুমতিতে উত্তর কোরিয়ার ভূখণ্ডে ঢুকে আটক মার্কিন সেনা ট্রাভিস কিংকে ছেড়ে দিয়েছে পিয়ংইয়ং। গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে টেক্সাসের সামরিক ঘাঁটিতে পৌঁছান ট্রাভিস কিং। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন ওই মার্কিন কর্মকর্তা।

টেক্সাসের একটি টেলিভিশন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে উড়োজাহাজ থেকে ট্রাভিস কিংকে নামতে দেখা গেছে।

সুইডেন ও চীনের মধ্যস্থতায় ট্রাভিস কিংকে উত্তর কোরিয়া থেকে মুক্ত করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। এক্ষেত্রে সুইডেন যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করেছে। প্রথমে ট্রাভিস কিংকে চীনে নিয়ে আসা হয়। পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে।

ট্রাভিস কিংকে মুক্ত করতে সহযোগিতা করায় সুইডেন ও চীনকে ধন্যবাদ দিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে মার্কিন সেনাকে ছেড়ে দিতে কোনো চুক্তি কিংবা লেনদেন করতে হয়নি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন

গত ১৮ জুলাই ট্রাভিস কিং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে উত্তর কোরিয়ায় ঢোকেন। এরপর তাঁকে আটক করা হয়।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, দেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী আটক মার্কিন সেনা ট্রাভিস কিংকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিয়ংইয়ং।

কেসিএনএর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৩ বছর বয়সী ট্রাভিস কিং উত্তর কোরিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, মার্কিন সেনাবাহিনীতে তাঁর সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হতো। এ ছাড়া কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ায় বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছেন তিনি। এসব কারণে সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছেন কিং।

আরও পড়ুন