গুপ্তচরবৃত্তির জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করবে উত্তর কোরিয়া

‘মিলিটারি রিকোনাইস্যান্স স্যাটেলাইট নাম্বার ওয়ান’ নামের উপগ্রহটি যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের সামরিক কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখবে
রয়টার্স ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের সামরিক কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি রাখার জন্য সামরিক কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করবে উত্তর কোরিয়া। আগামী জুনেই গুপ্তচরবৃত্তির জন্য এটি উৎক্ষেপণ করা হবে। আজ মঙ্গলবার দেশটির জ্যেষ্ঠ একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।

গতকাল সোমবার জাপান জানায়, তারা জানতে পেরেছে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই পিয়ংইয়ং একটি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে পারে।

উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান রি পিয়ং চোলকে উদ্ধৃত করে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানায়, ‘মিলিটারি রিকোনাইস্যান্স স্যাটেলাইট নাম্বার ওয়ান’ জুনেই উৎক্ষেপণ করা হবে।

আরও পড়ুন

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল নতুন একটি আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির সরকার জানায়, এটি একটি ‘সলিড ফুয়েল’ ক্ষেপণাস্ত্র। নাম ‘হওয়াসং-১৮’।

ওই ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রভান্ডারের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ বলে জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানায়, সলিড ফুয়েল ক্ষেপণাস্ত্র হওয়াসং-১৮ তুলনামূলক দ্রুত উৎক্ষেপণ করা যায়। এ ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত ও প্রতিহত করা কঠিন।

উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং-উন তখন বলেছিলেন, আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হওয়াসং-১৮-এর সফল পরীক্ষা প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর ভয় ও উদ্বেগ বাড়াবে।

আরও পড়ুন

গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বড় ধরনের যৌথ সামরিক মহড়া ‘ফ্রিডম শিল্ড ২৩’ অনুষ্ঠিত হয়। এটি গত পাঁচ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় যৌথ সামরিক মহড়া। এ মহড়ার বিরোধিতা করে উত্তর কোরিয়া। মহড়ার আগে-পরে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে দেশটি।

আরও পড়ুন