জ্বালানির বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে কাজ করবে সৌদি আরব-যুক্তরাষ্ট্র

সৌদি আরবের জেদ্দা শহরে যুবরাজ সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
ফাইল ছবি: রয়টার্স

আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সৌদি আরবের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সৌদি আরবের সরকারি বার্তা সংস্থা এসপিএর বরাত দিয়ে আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজার নিয়ে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারের দিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে কাজ করবে দুই দেশ।

হোয়াইট হাউসে ক্ষমতায় বসার পর প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেলেন বাইডেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, জ্বালানির প্রতি আগ্রহের জেরেই সৌদি আরবে বাইডেনের এই সফর। গত ৪০ বছরের মধ্যে এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। মূল্যস্ফীতিতে লাগাম টানতে দেশটি সৌদি আরবসহ পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকের সদস্যদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তেল উত্তোলনে রাজি করাতে চাচ্ছে। লক্ষ্য, এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে তেলের দাম কমানো।

অবশ্য এরই মধ্যে তেল উত্তোলন বাড়িয়েছে ওপেকের সদস্যদেশগুলো। করোনা মহামারির সময়ে জ্বালানি তেলের চাহিদা ব্যাপক হারে পড়ে যায়। ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় তাদের। ওই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগস্টে প্রতিদিন ৬ লাখ ৪৮ হাজার ব্যারেল তেল উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওপেক প্লাস। জোটের বেশির ভাগ দেশই সর্বোচ্চ সক্ষমতা ব্যবহার করে তেল উত্তোলন করছে।

আরও পড়ুন

শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, তাঁর মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগে থেকেই তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। ফলে জ্বালানির বাজারে আগামী কয়েক সপ্তাহে তাঁর সৌদি আরব সফরের উল্লেখযোগ্য প্রভাব বোঝা যাবে না।

আরও পড়ুন

এদিকে বাইডেনের সফরের আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান শুক্রবার বলেন, সৌদি আরব যে শিগগিরই তেল উত্তোলন বাড়াবে, সে বিষয়ে আশাবাদী নন তিনি। এর চেয়ে বরং আগামী ৩ আগস্ট ওপেক প্লাসের সদস্যদেশগুলোর বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের দিকে নজর দেবেন তাঁরা।

আরও পড়ুন