মালয়েশিয়ার নিখোঁজ উড়োজাহাজের হদিস পাওয়া যাবে কি

মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইট-৩৭০ উড়োজাহাজের নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনেরা এখনো অপেক্ষায় আছেনছবি: এএফপি

মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইট-৩৭০ উধাও হওয়ার ১০ বছর পূর্তি হলো। ২৩৯ জন যাত্রী ও ক্রু নিয়ে ফ্লাইটটি নিখোঁজ হয়ে যায়। ঘটনাটি নিয়ে নানা তথ্য সামনে এসেছে। কিন্তু এত বছরেও উড়োজাহাজটির হদিস পাওয়া যায়নি। আর যাত্রী ও ক্রুদের ভাগ্যেই-বা কী ঘটেছে, তা-ও থেকে গেছে অজানা।

২০১৪ সালের ৮ মার্চ। রাত ১২টা ৪১ মিনিট। মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইট-৩৭০-এ ক্রুসহ চেপে বসেন ২৩৯ আরোহী। গন্তব্য কুয়ালালামপুর থেকে চীনের বেইজিং। রানওয়ে পেরিয়ে আকাশের দিকে ছুটছে বোয়িং ৭৭৭-২০০ইআর উড়োজাহাজটি। সকালের অপেক্ষায় সবাই ঠিকঠাক সিটবেল্ট বেঁধে নেন। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ছয়টায় বেইজিংয়ে অবতরণ করলেই ওড়ার এ যাত্রায় ছুটি যাত্রীদের।

উড়োজাহাজটি নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর জানানো হয়েছিল, যাত্রীবাহী বিমানটি নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হওয়ার পর অন্তত আট ঘণ্টা আকাশে উড়েছিল। দীর্ঘ এই সময়ে বাণিজ্যিক রাডারগুলো ফাঁকি দিতে অস্বাভাবিক নিচু দিয়ে উড়ছিল এটি।

রাত ১টা ১৯ মিনিট। ‘সবকিছু ঠিক আছে’বোঝাতে উড়োজাহাজটি থেকে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারে পাঠানো নিয়মিত বার্তায় বলা হয়, ‘শুভরাত্রি মালয়েশিয়ান থ্রি সেভেন জিরো।’এর পরেই এয়ারক্রাফট কমিউনিকেশনস অ্যাড্রেসিং অ্যান্ড রিপোর্টিং সিস্টেম বা এসিএআরএস বন্ধ হয়ে যায়। ভিয়েতনামের দক্ষিণে সমুদ্রসীমায় যাওয়ার পর রহস্যজনকভাবে উড়োজাহাজটি নিখোঁজ হয়। আন্তর্জাতিকভাবে বহু অনুসন্ধান চালিয়েও এর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। উড়োজাহাজটি সর্বশেষ দক্ষিণ ভিয়েতনামের কামাও প্রদেশের আকাশসীমা থেকে হো চি মিন সিটির বিমান নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।

‘শুভরাত্রি মালয়েশিয়ান থ্রি সেভেন জিরো’-বার্তাটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারে পাঠিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন জাহারি আহমদ শাহ। মালয়েশিয়ার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে বিদায় জানানোর সময় ক্যাপ্টেন এই বার্তা পাঠিয়েছিলেন। এরপর দুই ইঞ্জিনের উড়োজাহাজটি কুয়ালালামপুর ছেড়ে যায়। প্রায় ৪০ মিনিট পর ৮ মার্চ ভোরে ভিয়েতনামের আকাশসীমায় চলে যায় সেটি।

বোয়িং ৭৭৭-২০০ উড়োজাহাজটি প্রায় ২১০ ফুট দীর্ঘ, ২০০ ফুট ডানা ও ৬১ ফুট উঁচু লেজ নিয়ে কীভাবে নিখোঁজ হতে পারে, তা এখনো কেউ বুঝতে পারছেন না
ছবি: রয়টার্স

উড়োজাহাজটি নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর জানানো হয়েছিল, যাত্রীবাহী বিমানটি নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হওয়ার পর অন্তত আট ঘণ্টা আকাশে উড়েছিল। দীর্ঘ এই সময়ে বাণিজ্যিক রাডারগুলো ফাঁকি দিতে অস্বাভাবিক নিচু দিয়ে উড়ছিল এটি।

শুরুতে দক্ষিণ চীন সাগরে উড়োজাহাজটির অনুসন্ধান চালানো হয়। সেখানে ব্যর্থ হয়ে অভিযান চালানো হয় দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের একটি অংশে। সে সময় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এমন ধারণা পাওয়া গিয়েছিল, জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় উড়োজাহাজটি এ অঞ্চলে নেমে আসতে পারে। ভারত মহাসাগরের প্রত্যন্ত দ্বীপ ও পূর্ব আফ্রিকার সমুদ্রসৈকতে উড়োজাহাজের ডানার অংশবিশেষ পাওয়া গেছে বলেও তখন দাবি করা হয়েছিল। যদিও ডানার ওই অংশবিশেষ নিখোঁজ উড়োজাহাজের কি না, নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

কোটি কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করে মহাসাগরে তল্লাশি চালানো হলেও উড়োজাহাজটির কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। তাই আধুনিক কালে উড়োজাহাজ নিখোঁজের ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় রহস্য হিসেবেই রয়ে গেছে এটি।

উড়োজাহাজটিতে কারা ছিলেন

মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, উড়োজাহাজটিতে ১৫টি দেশের নাগরিক ছিলেন। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি চীনের নাগরিক।

উড়োজাহাজটিতে চীনা শিল্পীদের একটি দলও ছিল। কুয়ালালামপুরে তাঁদের ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী চলছিল। ইরানের দুই নাগরিক ভুয়া ইউরোপীয় পাসপোর্টে ভ্রমণ করছিলেন, একজন ইন্দোনেশীয় নতুন চাকরিতে যোগ দিতে বেইজিং যাচ্ছিলেন, এক মালয়েশীয় দম্পতি যাচ্ছিল মধুচন্দ্রিমায়। এ ছাড়া বাচ্চাকাচ্চাসহ উড়োজাহাজে ছিল পুরো একটি পরিবার।

ককপিটে (চালকের স্থান) ছিলেন ক্যাপ্টেন জাহারি আহমদ শাহ। ৫৩ বছর বয়সী জাহারির তিন সন্তান। ১৯৮১ সালে তিনি মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসে যোগ দেন। দেশটির শীর্ষ পাইলটদের একজন ছিলেন জাহারি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সহ-পাইলট ফারিক হামিদ আহমদ। ওই সময় ২৭ বছর বয়সী ফারিক সবে বোয়িং ৭৭৭ চালানোর যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন।

উড়োজাহাজের কেবিনে মালয়েশীয় ক্রুদের নেতৃত্বে ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক প্যাট্রিক গোমেজ। তিনি ৩৫ বছর ধরে এয়ারলাইনসে কাজ করছিলেন।

নিখোঁজ হওয়ার সময় যা ঘটেছিল

উড়োজাহাজটি নিখোঁজ হওয়ার খবর চাউর হলে হতবাক হয়ে যান মালয়েশীয়রা। হৃদয়বিদারক এই ঘটনার বিষয়ে কারও কোনো ধারণা ছিল না। যাত্রীদের স্বজনেরা খবর জানার অপেক্ষায় মরিয়া হয়ে বেইজিংয়ে অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু কেউ তাঁদের কোনো জবাব দিতে পারেননি। এতে মালয়েশিয়া সরকার, রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইনসের কর্মকর্তারা, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ নজিরবিহীনভাবে আন্তর্জাতিক তদন্তের আওতায় আসে।

তদন্তের একপর্যায়ে স্পষ্ট হয়, উড়োজাহাজটি কখনোই ভিয়েতনামের আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি। জাহারির বার্তা পাঠানোর কিছুক্ষণের মধ্যে উড়োজাহাজটিকে নিয়ে সবকিছু কেমন যেন অন্ধকারে চলে যায়। উড়োজাহাজের ট্রান্সপন্ডারগুলো (এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের সঙ্গে যোগাযোগ ও উড়োজাহাজের অবস্থান শনাক্ত করার যন্ত্র) বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সচল ছিল না ট্র্যাকিং সিস্টেমও।

সামরিক রাডারে দেখা গেছে, উড়োজাহাজটির উত্তর মালয়েশিয়া ও পেনাং দ্বীপের ওপর দিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা না করে সেটি আন্দামান সাগরে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের অগ্রভাগে চলে যায়। ৮ মার্চ স্থানীয় সময় রাত ২টা ২২ মিনিট পর্যন্ত তা দেখা গিয়েছিল। এরপর সেখান থেকে উড়োজাহাজটি দক্ষিণে ভারত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের দিকে চলে যায়।

উদ্ধারে যা করা হয়েছিল

উড়োজাহাজটি নিখোঁজ হওয়ার পরপরই মালয়েশিয়া দুই ডজনের বেশি দেশের সমন্বয়ে একটি অনুসন্ধান দল গঠন করে।

প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ চীন সাগর ও আন্দামান সাগরে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু ১২ মার্চ সামরিক রাডারের ফলাফল দেখে এখানকার তল্লাশি বন্ধ করে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে তল্লাশি শুরু করা হয়। ১৮ মার্চ দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের ৪৫ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে শুরু হয় তল্লাশি কার্যক্রম। অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বে বহুজাতিক এই তল্লাশি কার্যক্রমে উড়োজাহাজটির কোনো হদিস না পাওয়ায় ছয় সপ্তাহ পর এখানকার অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এরপর অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূল থেকে প্রায় ২ হাজার ৮০০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রতলের দিকে মনোযোগ দেয় অনুসন্ধানকারী দল। এখানে ১ লাখ ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। এই তল্লাশিতে অংশ নেয় জাহাজ, সাবমেরিন ও উড়োজাহাজ। এতে প্রায় ১৪ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয় করা হয়। কিন্তু তাতেও ফল আসেনি।

এরপর মার্কিন প্রতিষ্ঠান ওশান ইনফিনিটি উড়োজাহাজটি উদ্ধারের চ্যালেঞ্জ নেয়। ‘উদ্ধার না হলে কোনো ফি নেই’ শর্তে কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। ১ লাখ ১২ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় তল্লাশি চালায় তারা। শেষ পর্যন্ত উড়োজাহাজটির কোনো ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারে তারাও ব্যর্থ হয়।

আরও পড়ুন

উড়োজাহাজটির ভাগ্যে কী ঘটতে পারে

উড়োজাহাজটি নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে ২০১৮ সালে মালয়েশিয়া সরকার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়েছিল, এ ঘটনায় সম্ভবত ‘ফাউল প্লে’(পাইলটের ত্রুটিপূর্ণ বিমানচালনা) জড়িত ছিল। তবে ট্রান্সপন্ডারগুলো কে বন্ধ করে উড়োজাহাজটি ঘুরিয়ে দেয়, তা বলা সম্ভব নয়।

এমএইচ৩৭০ নিরাপত্তা তদন্ত দলের প্রধান কক সু চোন সাংবাদিকদের বলেন, ‘যদি ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়, তবেই শুধু সঠিক উত্তর পাওয়া যাবে।’

এরপর এ ঘটনায় জাহারিকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়। ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো (এটিএসবি) ৪৪০ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়েছে, এমএইচ৩৭০ নিখোঁজ হওয়ার ছয় সপ্তাহ আগে পাইলট তাঁর ‘হোম ফ্লাইট সিমুলেটরে’ উড়োজাহাজ চালানোর মহড়া দেন; যা ৮ মার্চের উড্ডয়নের সঙ্গে ‘প্রাথমিকভাবে একই রকম’ ছিল।

কক সু বলেন, তদন্তকারীরা পাইলট ও ফার্স্ট অফিসারের ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাঁদের অতীত কর্মকাণ্ড, প্রশিক্ষণ ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন তদন্তকারীরা। তিনি আরও বলেন, ‘পাইলটরা ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা আমরা মনে করি না। তবে তদন্তকারীরা কোনো সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। কারণ, উড়োজাহাজটির পথ ঘোরানোর কাজ ম্যানুয়ালি করা হয়েছিল এবং সিস্টেমগুলোও বন্ধ করা হয়েছিল ম্যানুয়ালি।’

কক বলেন, ‘তৃতীয় কোনো পক্ষ বেআইনিভাবে এমনটা ঘটাতে পারে, এমন ভাবনা আমরা বাদ দিচ্ছি না।’

এদিকে সুনির্দিষ্ট তথ্যের অভাবে ওই ঘটনা নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্বও সামনে চলে এসেছে।

আরও পড়ুন

সন্ধান কি পাওয়া যাবে

বোয়িং ৭৭৭-২০০ উড়োজাহাজটি প্রায় ২১০ ফুট দীর্ঘ। ২০০ ফুট লম্বা ডানা ও ৬১ ফুট উঁচু লেজ নিয়ে কীভাবে এত বড় উড়োজাহাজ নিখোঁজ হতে পারে, তা এখনো কেউ বুঝতে পারছেন না।

তবে ভারত মহাসাগর হলো বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। এর গভীরতাও অবিশ্বাস্য রকমের। এ মহাসাগরের যেসব জায়গায় অনুসন্ধান চালানো হয়েছে, সেসব জায়গার গভীরতা ছিল প্রায় ৪ হাজার মিটার।

ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার কোস্টাল ওশানোগ্রাফির অধ্যাপক চারিথা প্যাট্টিয়ার্চিসহ গবেষকদের একটি দল পানির প্রবাহ বিশ্লেষণ করে পরামর্শ দিয়েছিলেন, উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোর উপকূলের দিকে প্রবাহিত হবে।

অধ্যাপক চারিথার বিশ্বাস বলেন, ‘গত ১০ বছরে প্রযুক্তির অনেক অগ্রগতি হয়েছে। একই সঙ্গে সমুদ্রের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। তাই শেষমেশ উড়োজাহাজটির খোঁজ পাওয়ার ‘উচ্চ সম্ভাবনা’ দেখা যাচ্ছে।’

চলতি মাসে এক চিঠিতে এই অধ্যাপক বলেছেন, ‘মহাসমুদ্রের যে এলাকায় অনুসন্ধান চালানো হয়, সেখানে গভীরতা প্রায় ৪ হাজার মিটার। সেখানে হালকা স্রোতসহ পানির তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর অর্থ হলো, ১০ বছর পরও ধ্বংসাবশেষ ক্ষেত্র তুলনামূলকভাবে অক্ষত থাকবে।’

সমুদ্রের তলদেশে এত বছর পরে উড়োজাহাজের ব্ল্যাকবক্স পাওয়া গেলেও তা বিশ্লেষণ করা সম্ভব হবে কি না, সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে উড়োজাহাজটির কোনো হদিস পাওয়া গেলে বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষায় থাকা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো কিছু স্বস্তি হয়তো পাবে। সেটিই-বা কম কিসে!