গোলাবারুদের অভাবে ইউক্রেনে বেলচা নিয়ে লড়ছেন রুশ সেনারা: যুক্তরাজ্য

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ‘আংশিক সেনা নিযুক্তির’ মাধ্যমে রাশিয়ার অনেক নাগরিককে সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হয়েছে
ফাইল ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়া নতুন সেনারা ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে গোলাবারুদের সংকটে ভুগছেন। ফলে শত্রুপক্ষের সঙ্গে তাঁদের ‘হাতাহাতি’ লড়াইয়ে নামতে হচ্ছে। এই লড়াইয়ে তাঁরা এক ধরনের ‘বেলচা’ ব্যবহার করছেন। গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত মাসের শেষের দিকে রুশ বাহিনীর নতুন সেনাদের কয়েকজন জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনের একটি সামরিক ফাঁড়িতে ‘বন্দুক ও বেলচা’ নিয়ে হামলা চালাতে তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই বেলচাগুলো এমপিএল-৫০ নামে পরিচিত।

আরও পড়ুন

যুক্তরাজ্যের মন্ত্রণালয় বলছে, এমপিএল-৫০-এর নকশা করা হয়েছিল ১৮৬৯ সালে। পরে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেগুলোর নকশায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই বেলচা এখনো ব্যবহার করা ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ‘নৃশংসতা ও নিম্ন প্রযুক্তির ব্যবহার সামনে এনেছে’।

রাশিয়ার নতুন যেসব সেনা ইউক্রেনে যুদ্ধ করছেন তাঁদের একজনের বক্তব্য তুলে ধরেছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই সেনা বলেছেন, এমনভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে তিনি ‘শারীরিক বা মানসিক’—কোনোভাবেই প্রস্তুত ছিলেন না।

যুক্তরাজ্য সরকারের ধারণা, যেসব প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে, তাতে এটা বোঝা যাচ্ছে যে, ইউক্রেনে মুখোমুখি যুদ্ধের পরিমাণ বাড়ছে। এর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে তারা বলছে, রাশিয়ার সেনা কর্মকর্তারা মূলত পদাতিক বাহিনী দিয়েই আক্রমণ চালানোর ওপর জোর দিচ্ছেন। আর গোলাবারুদের ঘাটতির কারণে এই বাহিনীকে কামান হামলার মাধ্যমে তেমন একটা সহায়তা করা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন

তবে যুক্তরাজ্যে এই গোয়েন্দা প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি। এমনকি কোন অঞ্চলে রুশ সেনারা বেলচা নিয়ে লড়ছেন তা জানতে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, তারা কোনো তথ্য দেয়নি।

এরই মধ্যে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বাখমুত শহর নিয়ন্ত্রণে রুশ সেনাদের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়্যার (আইএসডব্লিউ)। শহরটির দখল নিয়ে কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের সেনাদের সঙ্গে রুশ বাহিনীর যুদ্ধ চলছে। বাখমুত দখলে নিতে পারলে তা হবে বিগত কয়েক মাসের যুদ্ধে রাশিয়ার জন্য বড় একটি সাফল্য।

আরও পড়ুন