তবে বাখমুত দখলের লড়াই রাশিয়ার জন্য মোটেও সহজ হচ্ছে না। সর্বশেষ এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ৬ মার্চের পর থেকে শুধু বাখমুতেই ১ হাজার ১০০ জনের বেশি রুশ সেনাকে হত্যা করা হয়েছে। আর আহত হয়েছেন রুশ বাহিনীর দেড় হাজারের বেশি সদস্য।
অপর দিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় বাখমুতে তাদের হামলায় ২২০ জনের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন। তবে কোনো পক্ষের দাবির সত্যতা স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
বাখমুতে রাশিয়ার পক্ষে লড়ছে ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী ভাগনার গ্রুপ। বাহিনীটিকে নিয়ে ইউক্রেনের সেনা কমান্ডার কর্নেল জেনারেল ওলেকসান্দ্র সিরস্কি বলেছেন, ইউক্রেনীয়দের প্রতিরক্ষাবলয় ভেঙে দিয়ে শহরের কেন্দ্রের দিকে এগোতে চাইছেন ভাগনারের যোদ্ধারা। এ জন্য তাঁরা বিভিন্ন দিক থেকে হামলা চালাচ্ছেন।
যুদ্ধ যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে তা বোঝা যায় ভাগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিনের একটি টেলিগ্রাম পোস্ট থেকে। ওই পোস্টে তিনি বলেন, বাখমুতের পরিস্থিতি ‘খুবই জটিল’। শত্রু সেনারা প্রতি মিটার মাটি রক্ষা করার জন্য লড়ছেন। ভাগনারের সেনারা যতই শহরের কেন্দ্রের দিকে এগোচ্ছেন, লড়াই ততই ভয়ংকর হয়ে উঠছে।
লবণ ও জিপসামের খনির জন্য পরিচিত বাখমুত। লড়াই শুরু হওয়ার আগে শহরটিতে ৭০ হাজারের মতো মানুষের বসবাস ছিল। তবে এখন সেখানে মাত্র কয়েক হাজার বাসিন্দা টিকে আছেন। আর পশ্চিমা দেশগুলোর হিসাব অনুযায়ী, বাখমুত দখলে নিতে রাশিয়ার ২০ থেকে ৩০ হাজার সেনা হতাহত হয়েছেন।