ভারতে গরু ব্যবসায়ী যুবককে পিটিয়ে হত্যা, সন্দেহ গোরক্ষকদের
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে গরু ব্যবসায়ী এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বঘোষিত গোরক্ষকদের বিরুদ্ধে। শনিবার এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যবসায়ীর নাম ইদ্রিস পাশা। হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত পুনিত কেরেহালি নামের এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে গোরক্ষক বলে দাবি করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে ইদ্রিস গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাঁর পথ আটকান পুনিত। ইদ্রিস বৈধ কাজগপত্র দেখানোর পরও তাঁকে আটকে রাখা হয়। দাবি করা হয় দুই লাখ রুপি। এতে রাজি না হওয়ায় পুনিত তাঁর কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে ইদ্রিসকে মারধর করেন।
কর্ণাটকের রামানগর জেলার সাথনুর নামের একটি গ্রাম থেকে গরু ব্যবসায়ী ইদ্রিসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রামের একটি সড়কের পাশে তাঁর লাশটি পড়ে ছিল। ইদ্রিসকে হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তি পুনিত স্বঘোষিত কথিত একটি ‘গোরক্ষক বাহিনীর’ সদস্য। তিনি এখন পলাতক। রাজ্যের পুলিশ পুনিতকে খুঁজছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি ভারতে সরকার গঠনের পর গোরক্ষার নামে হত্যার ঘটনা বাড়তে শুরু করে। কেন্দ্রীয় সরকার গোরক্ষার নামে বেশ কিছু পদক্ষেপও নেয়। এর মধ্যে ছিল প্রতিবেশী দেশে গরু পাচার বন্ধ করা। জবাইয়ের জন্য গরু কেনাবেচা নিষিদ্ধ করা।
এ ঘটনায় পুনিতের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। হত্যা ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে স্থানীয় থানা–পুলিশ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি ভারতে সরকার গঠনের পর গোরক্ষার নামে হত্যার ঘটনা বাড়তে শুরু করে। কেন্দ্রীয় সরকার গোরক্ষার নামে বেশ কিছু পদক্ষেপও নেয়। এর মধ্যে ছিল প্রতিবেশী দেশে গরু পাচার বন্ধ করা। জবাইয়ের জন্য গরু কেনাবেচা নিষিদ্ধ করা।
এ ছাড়া উত্তর প্রদেশে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ‘অবৈধ’ ও ‘বেআইনিভাবে’ চলা কসাইখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই ব্যবস্থা গ্রহণ করে অন্য বিজেপি-শাসিত রাজ্য সরকারগুলো। এ নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে অশান্তি দেখা যায়। এরপরই স্বঘোষিত গোরক্ষকেরা গরুর মাংস খাওয়া, গরুর মাংস বাড়িতে রাখা ও গরু পাচারের অভিযোগে বিভিন্ন রাজ্যে লোকজনকে পিটিয়ে মারা শুরু হয়।