ভারতের দলছুট রাজনীতির আরেকবার সফল মঞ্চস্থ করল ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। গতকাল শুক্রবার মণিপুর বিধানসভায় নিতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডের (জেডিইউ) ছয় বিধায়কের পাঁচজনই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। খবর এনডিটিভির।
কয়েক সপ্তাহ আগে বিহারে বিজেপির সঙ্গে জোট সরকার ভেঙে দেন মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার। বিহারে এ নিয়ে নয় বছরে দুবার বিজেপির সঙ্গে নিতীশের জোট ভাঙল।
চলতি বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মণিপুর বিধানসভার ৩৮টি আসনের মধ্যে ৬টিতে জয় পায় জেডিইউ। দলটি বিহারের পর মণিপুরেও বিজেপির সঙ্গ ছাড়তে পারে বলে সম্প্রতি গুঞ্জন ছড়িয়েছিল।
দলছুট বিধায়কের সংখ্যা মোট বিধায়কের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি হওয়ায় সেটা বৈধ বলেই বিবেচিত হবে। বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিধায়কেরা হলেন—খুমুকচাম জয়কিসান সিং, নগুরসাংলুর সানাতে, মো. আছাব উদ্দিন, সাবেক ডিজিপি এলএম খাউতে ও থাংজাম অরুণকুমার।
এর আগে ২০২০ সালে অরুণাচল প্রদেশে জেডিইউর সাত বিধায়কের ছয়জনই বিজেপিতে যোগ দেন। গত সপ্তাহে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যটিতে তাঁদের একমাত্র বিধায়কও বিজেপিতে ভিড়েছেন।
এদিকে মণিপুর বিধানসভার এই ‘ক্যু’ নিয়ে বাগ্যুদ্ধে জড়িয়েছেন জেডিইউ ও বিজেপি নেতারা। বিহার বিজেপির সংসদ সদস্য ও নিতীশ কুমারের দীর্ঘদিনের সাবেক ডেপুটি সুশীল কুমার মোদি টুইটে লিখেছেন, ‘অরুণাচলের পর মণিপুরও জেডিইউমুক্ত। খুব শিগগিরই বিহারও জেডিইউমুক্ত করবেন লালুজি।’
বিহারের রাজনীতিতে ওলটপালট
নিতীশের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও জেডিইউর জাতীয় সভাপতি রাজীব রঞ্জন সিং পাল্টা তোপ দেগেছেন। তিনি মোদিকে ‘দিবাস্বপ্ন’ না দেখতে বলেছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি মুছে যাবে বলেও টুইটে মন্তব্য করেছেন তিনি।
নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ভারতে বিধায়কদের নিজ দলত্যাগ ও রাজ্য সরকারগুলোর হরহামেশাই ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটছে। বিজেপির বিরুদ্ধে অন্য দলের বিধায়ক কেনার অভিযোগ রয়েছে।
গত বুধবার আম আদমি পার্টির (আপ) দিল্লি রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় সিং সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার পর বিজেপি সারা দেশে ২৭৭ জন বিধায়ক কিনেছে। রাজ্যে রাজ্যে নিজেদের সরকার গড়তে তারা ৬ হাজার ৩০০ কোটি রুপি খরচ করেছে। দিল্লিতেও ২০ জন আপ বিধায়ককে টার্গেট করেছিল বিজেপি।’