নন্দীগ্রামে পরাজয়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে পিটিশন মমতার

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী
ছবি: প্রথম আলো

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত আসন ছিল নন্দীগ্রাম। এ আসনে একসময়ের বিশ্বস্ত সঙ্গী ও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী লড়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল জিতলেও শুভেন্দুর কাছে হেরেছেন মমতা। এই পরাজয় চ্যালেঞ্জ করে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেছেন তিনি। খবর এনডিটিভির।

গত ২ মে ভোটের ফলাফল প্রকাশের দিনই মমতা বলেছিলেন, নন্দীগ্রামের ফল নিয়ে আদালতে যাবেন তিনি। কিন্তু কবে যাবেন, সে ব্যাপারে কিছুই জানাননি সে সময়ে। এরপর প্রায় দেড় মাস পেরিয়েছে। মমতা মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তাঁর হাত ধরে টানা তিনবারের মতো পশ্চিমবঙ্গে সরকার গড়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে শুভেন্দু পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী নেতা হিসেবে শপথ নিয়েছেন।

আরও পড়ুন

নন্দীগ্রামে মমতা–শুভেন্দুর লড়াইয়ে নজর ছিল সবার। ভোট গণনার দিন টানটান উত্তেজনার মধ্যে প্রথমে খবর বেরোয় ১ হাজার ২০০ ভোটে নন্দীগ্রামে জয়ী হয়েছেন মমতা। কিছুক্ষণ পরই খবর আসে, মমতা নয়, চূড়ান্ত জয় পেয়েছেন শুভেন্দু। ১ হাজার ৯০০-এর বেশি ভোটের ব্যবধানে তিনি মমতাকে হারিয়েছেন। ওই সময়ই গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল।

আরও পড়ুন

ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে কলকাতার বাড়িতে বসে সাংবাদিকদের একটি এসএমএস দেখিয়েছিলেন মমতা। বলেছিলেন, ‘একজনের কাছ থেকে এসএমএস পেয়েছি। নন্দীগ্রামের এক রিটার্নিং অফিসার জানিয়েছেন, বন্দুকের নলের মুখে কাজ করতে হচ্ছে। তিনি যদি পুনর্গণনার নির্দেশ দেন, তাহলে তাঁর প্রাণ সংশয়ে পড়তে পারে। নন্দীগ্রামে মেশিন পাল্টে দেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন

ভোটের পর সরকার গঠন করলেও বিজেপি ও শুভেন্দুর পক্ষ থেকে বারবার কটাক্ষের শিকার হয়েছেন মমতা। এসব নিয়ে নিশ্চুপ ছিলেন মমতা। এবার পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সরাসরি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি।