গাজায় কবর খুঁড়ে মরদেহ ‘চুরি’ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী

ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ হারিয়েছে শিশু সন্তান। কাফনের কাপড়ে মোড়া সন্তানের মরদেহ কোলে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা। গত অক্টোবরে গাজার আল–আকসা হাসপাতালের মর্গের সামনেছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার তিন মাস পূরণ হচ্ছে আগামীকাল রোববার। এই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজা নগরী। আজ শনিবার হামাস নিয়ন্ত্রিত উপত্যকাটির কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, নগরীর তুফা কবরস্থানে ১ হাজার ১০০টি কবর খুঁড়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সেখান থেকে তারা ১৫০টি মরদেহ চুরি করেছে।

এর আগেও ইসরায়েলি বাহিনী এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি গাজা কর্তৃপক্ষের। তাদের ভাষ্য, গত মাসেও গাজা নগরীসহ উপত্যকাটির উত্তরাঞ্চল থেকে এমন ৮০টি মরদেহ কবর খুঁড়ে নিয়ে গিয়েছিলেন ইসরায়েলের সেনারা।

এদিকে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গাজার বেশির ভাগ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। খাবারের তীব্র সংকটে দেখা দিয়েছে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি। ছড়িয়ে পড়ছে রোগবালাই। এতে উপত্যকাটিতে মানবিক সংকট আরও গভীর হতে পারে আশঙ্কা জাতিসংঘের। সব মিলিয়ে জাতিসংঘের ত্রাণসহায়তাবিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস গতকাল শুক্রবার বলেছেন, ‘গাজা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে’।

অপর দিকে জাতিসংঘ শিশু তহবিল—ইউনিসেফ সতর্ক করে বলেছে, সংঘাত, অপুষ্টি ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতির জেরে গাজায় এমন একটি ‘প্রাণঘাতী চক্র’ সৃষ্টি হয়েছে যে উপত্যকাটির ১১ লাখের বেশি শিশু হুমকির মুখে পড়েছে।

আরও পড়ুন

আজ উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকাটিতে ইসরায়েলের হামলায় ১২২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২৫৬ জন। এ নিয়ে সংঘাতের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ২২ হাজার ৭২২ জনের মৃত্যু হলো। একই সময়ে আহত হয়েছেন ৫৮ হাজার ১৬৬ জন। নিখোঁজ আরও ৭ হাজার। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

ইসরায়েল–হিজবুল্লাহ পাল্টাপাল্টি হামলা

আজ লেবাননের ইরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্য পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, উত্তর ইসরায়েলের মেরন এলাকার দিকে প্রায় ৪০টি রকেট ছোড়ে হিজবুল্লাহ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন

অপর দিকে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলের একটি নজরদারি চৌকিতে ৬২টি রকেট ছুড়ে হামলা চালিয়েছে তারা। গত মঙ্গলবার বৈরুতে হামাস নেতা সালেহ আল–আরোউরি হত্যার প্রাথমিক জবাব হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে।

হিজবুল্লাহর এ হামলার পর ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। বাহিনীটির ভাষ্য, হিজবুল্লাহর যেসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো লক্ষ্য করে রকেট ছোড়া হয়েছে। এ ছাড়া লেবাননের আয়তা ও শাব এলাকায় গোষ্ঠীটির বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

আরও পড়ুন