আজই আরও তিন জিম্মিকে মুক্তি দিচ্ছে হামাস
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আজ শনিবার আরও তিন জিম্মিকে মুক্তি দিচ্ছে। তাঁরা সবাই পুরুষ। এই জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলও তার দেশের কারাগারে বন্দী বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। সম্প্রতি নিজেদের মধ্যে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় এমন বন্দিবিনিময় করছে ইসরায়েল ও হামাস।
হামাস ও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, মুক্তি পেতে যাওয়া ওই তিন জিম্মি হলেন ইয়ারদেন বিবাস (৩৫), মার্কিন-ইসরায়েলি কিথ সিগেল (৬৫) ও ফরাসি-ইসরায়েলি অফার ক্যালদেরন (৫৪)। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার দিন এই তিনজন অন্যদের সঙ্গে জিম্মি হয়েছিলেন।
হামাসের এ হামলার অজুহাতে ওই দিন থেকেই ফিলিস্তিনের গাজায় নারকীয় তাণ্ডব শুরু করে ইসরায়েল। দীর্ঘ ১৫ মাস হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ চলার পর তা বন্ধের চেষ্টায় গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো বন্দিবিনিময় করতে চলেছে দুই পক্ষ। এ সময়ের মধ্যে ১৫ জিম্মি ও কয়েক শ ফিলিস্তিনি মুক্তি পেয়েছেন।
বন্দিবিনিময়ের বাইরে ইসরায়েলের হামলায় আহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কয়েকজনকে আজই চিকিৎসার জন্য গাজা ছাড়ার অনুমতিও দিতে পারে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। অনুমতি পেলে তাঁরা রাফাহ ক্রসিং পেরিয়ে মিসরে যাবেন। যুদ্ধ চলাকালে গাজা থেকে বাসিন্দাদের বাইরে বের হওয়ার একমাত্র পথ ছিল এটি। তবে এটিও গত মে মাসে বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল।
বন্দিবিনিময়ের বাইরে ইসরায়েলের হামলায় আহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কয়েকজনকে আজই চিকিৎসার জন্য গাজা ছাড়ার অনুমতিও দিতে পারে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। অনুমতি পেলে তাঁরা রাফাহ ক্রসিং পেরিয়ে মিসরে যাবেন। যুদ্ধ চলাকালে গাজা থেকে বাসিন্দাদের বাইরে বের হওয়ার একমাত্র পথ ছিল এটি। তবে এটিও গত মে মাসে বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল।
এই ক্রসিং আবারও খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে সেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি বেসামরিক মিশনকে মোতায়েন করা হয়েছে। প্রথম দফায় হামাস-ইসরায়েল ছয় সপ্তাহ মেয়াদি এ যুদ্ধবিরতির অন্যতম শর্ত ক্রসিংটি খুলে দেওয়া।
যুদ্ধবিরতির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শর্তের মধ্যে আছে ৩৩ জন জিম্মি ও প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণ গাজা থেকে উত্তরে নিজেদের বাড়িঘরে ফেরা ও বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় মানবিক ত্রাণ সরবরাহ বৃদ্ধির সুযোগ দেওয়া।
ইসরায়েলি নাগরিক বিবাসের মুক্তির সম্ভাবনার খবরে তাঁর স্ত্রী শিরি ও দুই সন্তানের ভাগ্য নিয়ে সৃষ্ট উদ্বেগের বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে। তাঁরা সবাই ইসরায়েলের কিবুৎজ নির ওজ এলাকা থেকে হামাসের হাতে আটক হয়েছিলেন।
হামাস বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের এক বিমান হামলায় শিরি ও তাঁর দুই শিশুসন্তান নিহত হয়েছে। ইসরায়েল বিষয়টি নিশ্চিত না করলেও সম্প্রতি তাদের একজন সামরিক মুখপাত্র এই তিনজনের ভাগ্য নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ থাকার কথা স্বীকার করেছেন।