জিম্মিদের কাছে ত্রাণ সরবরাহ করতে প্রস্তুত হামাস, আছে যেসব শর্ত
ফিলিস্তিনের গাজায় বন্দী জিম্মিদের কাছে ত্রাণ সরবরাহের জন্য রেডক্রসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত হামাস। গতকাল রোববার এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি। তবে এ জন্য ইসরায়েলকে কিছু শর্ত দিয়েছে তারা। সেগুলো হলো ইসরায়েলকে স্থায়ীভাবে মানবিক করিডর খুলে দিতে হবে। এ ছাড়া ত্রাণ সরবরাহের সময় বন্ধ রাখতে হবে আকাশপথে হামলা।
এর আগে শনিবার এক জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করেছিল হামাস। ইভয়াতার ডেভিড নামের ওই জিম্মিকে খুবই জীর্ণশীর্ণ দেখা যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি গর্ত খুঁড়ছেন ডেভিড। গর্তটিকে নিজের কবর হিসেবে কাজে লাগাবেন বলে জানান তিনি। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হামাসের হাতে এখনো ৫০ জন জিম্মি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২০ জন জীবিত বলে ধারণা করা হয়।
ওই জিম্মির ভিডিও প্রকাশের পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জিম্মিদের পরিস্থিতি নিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার বিশেষ অধিবেশনে বসবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। রোববার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, জিম্মিদের মানবিক সহায়তা দিতে রেডক্রসকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রোববারেই গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে উপত্যকাটির আরও ছয়জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর থেকে গাজায় অনাহারে ১৭৫ জনের মৃত্যু হলো। তাঁদের মধ্যে শিশুই ৯৩টি। একই সময় ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৬১ হাজার ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন প্রায় দেড় লাখ।
গাজায় ত্রাণ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ইসরায়েলি সংস্থা সিওজিএটি জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ১ হাজার ২০০ ট্রাকে করে ২৩ হাজার টনের বেশি মানবিক সহায়তা গাজায় প্রবেশ করেছে। এ ছাড়া উড়োজাহাজে করে ত্রাণ ফেলা হচ্ছে। তবে গাজার ২২ লাখ মানুষের অনাহারে থাকা রুখতে স্থলপথে ত্রাণ সরবরাহ আরও বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা।