বিলাওয়াল কি পাকিস্তানের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি
ফাইল ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। অনাস্থা ভোটে ইমরান খানের সরকারকে অপসারণ করেছে বিরোধীরা। ইমরান খানকে সরাতে গঠিত বিরোধীদের জোটের প্রধান শরিক পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) শাহবাজ শরিফ দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য জাতীয় পরিষদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ সোমবার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে ভোটাভুটি হবে। তিনিই প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কে হতে যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী?

সংসদীয় সরকার ব্যবস্থার দেশ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলেন রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান। আর রাষ্ট্রপ্রধান হলেন প্রেসিডেন্ট। এই দুই পদকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। ক্ষমতার বিচারে প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের পরই আছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ইমরান খান সরকারের পররাষ্ট্রনীতি ভুল ছিল বলে শুরু থেকেই সমালোচনা করে আসছিল বিরোধী জোট। ফলে কে হচ্ছেন নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, এটা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা–কল্পনা শুরু হয়ে গেছে।

এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে যে পাকিস্তানের বর্তমান জাতীয় পরিষদের তৃতীয় বৃহত্তম দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারেন। তবে বিদেশি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৩৩ বছর বয়সী বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, মন্ত্রিত্বের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে তাঁর দল। তিনি বলেন, ইমরানের দল পিটিআই পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় নিরাপত্তা কমিটিকে (এনএসসি) বিতর্কিত করেছে।

আরও পড়ুন

বিলাওয়াল বলেন, ইমরান খানের পিটিআইয়ের প্রায় চার বছরের শাসনামলে পাকিস্তানের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে। ইমরানের পরামর্শে জাতীয় পরিষদে ভেঙে দেওয়ার পরও সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তা পুনর্বহালের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিতর্ক থেকে মুক্তি দেওয়ার প্রথম পদক্ষেপ।

ইমরান খানের জোট থেকে বিরোধী জোটে যোগ দেওয়ার পর অনাস্থা ভোটে সমর্থন দেওয়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তানের (এমকিউএম-পি) সঙ্গে হওয়া চুক্তি নিয়ে বিলাওয়াল বলেন, ‘ওই চুক্তি শুধু এমকিউএম-পির দাবি মেনে হয়নি, সেখানে আমার ইচ্ছারও প্রতিফলন হয়েছে।’ শাহবাজ শরিফের দলে পিএমএল-এন এর সঙ্গে জোট বাঁধা নিয়ে বিলাওয়াল স্বীকার করেন, দুই দলের মধ্যে রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত পার্থক্য থাকলেও ভবিষ্যতেও তারা এভাবেই একই সঙ্গে থাকবে।