জবানবন্দি

অভিনেত্রী শিমু হত্যায় তাঁর স্বামীর বন্ধুও অংশ নেন

অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম (শিমু) হত্যায় গ্রেপ্তার তাঁর স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম (ছবিতে বাঁয়ে) এবং তাঁর বন্ধু এস এম ওয়াই আবদুল্লাহ ফরহাদ
 ছবি: সংগৃহীত

অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তাঁর স্বামী শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তাঁর বন্ধু ফরহাদ। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁরা এই জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রথম আলোকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা পুলিশের পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।

পুলিশ কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে সেদিন রাইমা ইসলামকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তাঁর স্বামী শাখাওয়াত। হত্যা করার কথা আদালতে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। আবার হত্যাকাণ্ড ও লাশ গুমের কাজে নানাভাবে সহযোগিতা করেন শাখাওয়াতের বন্ধু ফরহাদ। তিনিও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। দুজনই এখন কারাগারে।

১৭ জানুয়ারি সোমবার সকালে কেরানীগঞ্জ থেকে রাইমা ইসলামের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে পরিচয় শনাক্ত না হলেও নিহত ব্যক্তির আঙুলের ছাপ নিয়ে জাতীয় তথ্যভান্ডারে মিলিয়ে পুলিশ জানতে পারে, তিনি রাইমা ইসলাম।

ঢাকার কেরানীগঞ্জে সড়কের পাশ থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় গত সোমবার শিমুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার দিবাগত রাত চারটার দিকে রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন ৩৪ গ্রীন রোড এলাকা থেকে শিমুর স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তাঁর বন্ধু ফরহাদকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে হুন্দাইয়ের ছাই রঙের একটি ব্যক্তিগত গাড়ি উদ্ধার করা হয়।

শিমুর স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীমের বাড়ি ফরিদপুরের কমলপুর গ্রামে। তাঁদের ১৫ বছরের এক মেয়ে ও ৭ বছরের এক ছেলে আছে। এ ঘটনায় অভিনেত্রী শিমুর বড় ভাই হারুন অর রশিদ শাখাওয়াত ও ফরহাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করেন।

নিহত শিমুর ছোট বোন ফাতেমা নিশা সাংবাদিকদের জানান, রাইমা ইসলামকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন আসামি শাখাওয়াত। শিমুর বড় ভাই হারুন অর রশিদ জানান, তাঁর বোনজামাই শাখাওয়াত মাদকাসক্ত ছিলেন।