Thank you for trying Sticky AMP!!

আদেশ পিছিয়েছে, এই সময়ে মধ্যস্থতা নয়: আপিল বিভাগ

গ্রামীণফোনের কাছে পাওনা প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি নিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) করা আবেদনের ওপর আদেশ পিছিয়েছে। আদালত আগামী রোববার আদেশের জন্য দিন রেখেছেন। বলেছেন, এই সময়ে এ বিষয় নিয়ে গ্রামীণফোন অন্য কোনো ফোরামে (আরবিট্রেশনের জন্য) যেতে পারবে না।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

পাওনা দাবি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বিটিআরসির করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ আজ আদেশের এ দিন রেখেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ আবেদনটি কার্যতালিকায় ওঠে। শুনানিতে ছয় সদস্যের বেঞ্চে বিষয়টির শুনানি গ্রহণ, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গ্রামীণের আরবিট্রেশনের উদ্যোগের প্রসঙ্গ শুনানিতে ওঠে। এরপর আদালত পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে বিটিআরসির আবেদনের শুনানি হয়েছে জানিয়ে আগামী রোববার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, শেখ ফজলে নূর তাপস ও মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী। অন্যদিকে বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম ও খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

প্রায় ২৭টি খাতে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি (বিটিআরসির ৮ হাজার ৪৯৪ কোটি ও এনবিআরের ৪ হাজার ৮৬ কোটি) টাকা পাওনা দাবি করে গ্রামীণফোন লিমিটেডকে গত ২ এপ্রিল চিঠি দেয় বিটিআরসি। ওই পাওনা দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে গ্রামীণফোন নিম্ন আদালতে একটি মামলা করে ও পাওনা দাবির অর্থ আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চায়। গত ২৮ আগস্ট ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন নামঞ্জুর করেন। এর বিরুদ্ধে গ্রামীণফোনের পক্ষে গত ১৬ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়। এর গ্রহণযোগ্যতার শুনানি নিয়ে গত ১৭ অক্টোবর হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন এবং ওই অর্থ আদায়ের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে বিটিআরসি আবেদন করে, যা চেম্বার বিচারপতির আদালত হয়ে আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আসে।