
আবাসিকের জন্য জামানত ও সংযোগ ফি দেওয়া আবেদনকারীদের গ্যাস–সংযোগ দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি আবাসিক সংযোগ আর চালুর সুযোগ না থাকায় ডিমান্ড নোটের (চাহিদাপত্র) পরিপ্রেক্ষিতে যাঁরা টাকা জমা দিয়েছিলেন, তাঁদের ক্রস চেকের মাধ্যমে টাকা ফেরত দেওয়ার কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে—এমন সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
গত ২৭ এপ্রিল বিদ্যুৎ, জালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আবাসিকে গ্যাস সংযোগ আর চালুর সুযোগ না থাকায় ডিমান্ড নোটের পরিপ্রেক্ষিতে যাঁরা টাকা জমা দিয়েছিলেন, তাঁদের ক্রস চেকের মাধ্যমে টাকা ফেরত দেওয়ার কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
এ সিদ্ধান্ত এবং ডিমান্ড নোটের পরিপ্রেক্ষিতে আবাসিকে জামানত ও ফির মাধ্যমে গ্যাস সংযোগ দিতে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ৪ অক্টোবর ওই রিটটি করা হয়। চট্টগ্রাম গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির গ্রাহক ঐক্যজোটের সভাপতি আলমগীর নূর ও মহাসচিব এ কে এম অলি উল্লাহ হক ও মো. নুরুল আলম নামের এক গ্রাহক রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ওয়াজি উল্লাহ ও আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
পরে আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, ডিমান্ড নোটের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন গ্রাহক জামানত ও সংযোগ ফি দিয়ে আবেদন করেন। তাঁরা সংযোগ পাওয়ার অপেক্ষায়। তবে সংযোগ না দিয়ে গত ২৭ এপ্রিল জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভায় ওই সিদ্ধান্ত হয়। আইন অনুসারে ডিমান্ড নোটের পরিপ্রেক্ষিতে গ্যাস–সংযোগের জন্য টাকা জমা নেওয়া হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাঁদের গ্যাস–সংযোগ দেওয়ায় বাধ্যবাধকতা রয়েছে—এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।
রুলে জামানত ও সংযোগ ফির ভিত্তিতে রিট আবেদনকারীদের আবাসিকে গ্যাস–সংযোগ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান, গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস, কর্ণফুলী ও বাখরাবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৪ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।