Thank you for trying Sticky AMP!!

ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু, আজ ১০ জুনের টিকিট

ঈদ উপলক্ষে শুক্রবার সকাল আটটায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। কমলাপুর, ঢাকা, ১ জুন। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল আটটায় ঢাকার কমলাপুর ও চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। আজ বিক্রি করা হচ্ছে ১০ জুনের টিকিট।

টিকিট কিনতে কমলাপুর রেলস্টেশনে প্রচুর মানুষ এসেছেন। সেখানে প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ করা গেছে। ভোররাত থেকে টিকিট কাউন্টারগুলোর সামনে লাইনে দাঁড়ান টিকিটপ্রত্যাশীরা।

ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াসিন ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, টিকিটের কালোবাজারি ঠেকাতে তাঁদের একাধিক দল কাজ করছে।

ঈদে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি চলবে ৬ জুন পর্যন্ত। ২ জুন ১১ জুনের, ৩ জুন ১২ জুনের, ৪ জুন ১৩ জুনের, ৫ জুন ১৪ জুনের ও ৬ জুন ১৫ জুনের টিকিট দেওয়া হবে। ফিরতি টিকিট ১০ জুন থেকে ছাড়া হবে।

রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, একজন যাত্রীকে একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট দেওয়া হবে। এই টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না।

ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে ২৬টি কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি চলছে। এর মধ্যে দুটি কাউন্টার নারীদের জন্য সংরক্ষিত।

মোট টিকিটের ৭৫ শতাংশ কাউন্টারে, আর বাকি ২৫ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।

১১ জুন থেকে আন্তনগর ট্রেনগুলো সাপ্তাহিক ছুটিতেও চলাচল করবে।

ঈদ উপলক্ষে আজ বিক্রি করা হচ্ছে ১০ জুনের টিকিট। কমলাপুর, ঢাকা, ১ জুন। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

ঈদ উপলক্ষে এবার বিশেষ সাত জোড়া ট্রেন দেওয়া হবে। এগুলো হলো ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রেলপথে দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রেলপথে চাঁদপুর স্পেশাল-১ ও চাঁদপুর স্পেশাল-২, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রেলপথে রাজশাহী স্পেশাল, পার্বতীপুর-ঢাকা-পার্বতীপুর রেলপথে পার্বতীপুর স্পেশাল। এই পাঁচটি স্পেশাল ট্রেন ঈদের আগে ১৩ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত চলবে। ঈদের পরে চলবে ১৮ থেকে ২৪ জুন।

এ ছাড়া ঈদের দিন চলবে বাকি দুটি স্পেশাল ট্রেন। ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে চলবে শোলাকিয়া স্পেশাল ১ ও ২ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে চলবে শোলাকিয়া স্পেশাল ২।

ঈদ উপলক্ষে এবার প্রতিদিন পৌনে তিন লাখ যাত্রী গন্তব্যে যেতে পারবেন বলে গত ২৪ মে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। এদিন তিনি জানান, রেলে সাধারণ সময়ে ২ লাখ ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারেন। ঈদ উপলক্ষে সর্বোচ্চ তিন লাখ মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারবেন।