
প্রিয়জনদেরকে ঘিরেই তো উৎসবের আনন্দ। কাছের মানুষদের যদি অল্প কিছু উপহারের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানানো যায়, তাহলে উৎসবের আনন্দ যেন আরও বড় হয়ে ধরা দেয়।
বৈশাখে উপহার দেওয়ার মতো নানা সামগ্রী পাবেন আড়ংয়ে। হাতে তৈরি কাগজ দিয়ে বানানো ছবির ফ্রেম, টেরাকোটার শোপিস, বিভিন্ন আকৃতির মোম, উইন্ড চাইম, ছোট আয়না, মাটির মগ, টালি খাতার ধাঁচে বানানো ডায়েরি ইত্যাদি উপহার দিতে পারেন। ছোটদের দিতে পারেন কাপড় ও পাটের তৈরি নরম পুতুল। গোড়ায় পুতুল লাগানো কাঠপেনসিলও দেওয়া যেতে পারে তাদের।
এ ছাড়া বৈশাখী বার্তা জানাতে উপহারের সঙ্গে দেওয়া যেতে পারে শুভেচ্ছা কার্ড। যেসব বন্ধু দূরে আছেন, তাঁদেরও নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানো যেতে পারে একটি কার্ডের মাধ্যমে। এখন হাতে তৈরি কার্ডের বেশ চল। আর বৈশাখে শুভেচ্ছা জানাতেও এ ধরনের কার্ডই সবচেয়ে বেশি মানানসই হবে। চাইলে নিজেই কার্ড বানিয়ে বন্ধুদের শুভেচ্ছা জানাতে পারেন।
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বিশেষ দিবসগুলোতে নিজের হাতে বানানো কার্ড দিয়েই সব সময় বন্ধুদের শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকেন। কথা হলো তাঁর সঙ্গে, ‘বন্ধুদের জন্য সচরাচর যে কার্ডগুলো বানিয়ে থাকি, সেগুলো থেকে বাংলা নববর্ষের কার্ডে একটু ভিন্নতা আনার চেষ্টা করি। এবার হয়তো রঙিন কাগজ দিয়ে ছোট তালপাখা বা মুখোশ বানিয়ে তা কার্ডের ওপর বসিয়ে দিতে পারি অথবা এঁকে দিতে পারি ঢোল বা একতারার ছবি। মোট কথা, কার্ডের নকশা ও উপাদানে বাঙালিয়ানা থাকতে হবে এবং শুভেচ্ছা বার্তাটিও লিখতে হবে বাংলায়।’ বললেন তিনি।
কার্ড তৈরির জন্য আর্ট পেপার এবং হাতে তৈরি কাগজ ব্যবহার করতে পারেন।
শুকনো ফুল, পাতা ও জরি দিয়েও এর ওপর নকশা করা যেতে পারে। আইকা ও কাগজে ব্যবহারের আঠাই এটির জন্য উপযোগী। যেকোনো স্টেশনারির দোকান থেকেই এগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। হাতে তৈরি কাগজ এবং শুকনো ফুল পাতা পাবেন শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে।
নববর্ষের কার্ড এবং নানা ধরনের উপহার সামগ্রী কিনতে পাওয়া যাবে আড়ং, যাত্রা, আইডিয়াস, আজিজ সুপার মার্কেট এবং দোয়েল চত্বরের সামনের দোকানগুলোসহ যেকোনো কারুশিল্পের দোকানে।