Thank you for trying Sticky AMP!!

হাসপাতালে কাদেরকে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী

ওবায়দুল কাদেরকে দেখে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে আজ রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) যান। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তিনি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান।

রাজশাহীতে সেনাবাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ঢাকায় ফিরে আজ দলের অসুস্থ সাধারণ সম্পাদককে দেখতে হাসপাতালে যান আওয়ামী লীগের সভানেত্রী।

এর আগে দুপুরে বিএসএমএমইউর উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, আজ সকাল পৌনে আটটার দিকে ওবায়দুল কাদের শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তখনই তাঁকে হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়। পরে এনজিওগ্রাম করে দেখা যায়, তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক। একটিতে স্টেন্টিং করে দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে গেছেন। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

বেলা সোয়া দুইটার দিকে বিএসএমএমইউর কার্ডিওলজি বিভা‌গের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী আহসান বলেন, ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়। তাঁর অবস্থা ওঠানামা করছে। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে তাঁকে (ওবায়দুল কাদের) সিঙ্গাপুরে পাঠানো যা‌বে কিনা—য‌দি শুন‌তে চান, তাহ‌লে আমি বল‌ব—না। তাঁকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো যা‌বে না। মে‌ডি‌কেল বো‌র্ডের সিদ্ধান্ত আছে যে তাঁর যেমন চিকিৎসা চল‌ছে, সেটাসহ আরও সর্বাত্মক চেষ্টা চা‌লি‌য়ে যাওয়া।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘তাঁর (ওবায়দুল কাদের) যে রক্তনালীটা সব‌চে‌য়ে বে‌শি ক্রি‌টিক্যাল ছিল, আমরা শুধু সেটাই ঠিক ক‌রে‌ছি। কিন্তু সেটা বোধ হয় পর্যাপ্ত নয়। কারণ তিন‌টি নালী প্রয়োজন হয় রক্ত সরবরা‌হের জন্য। কিন্তু এই মুহূ‌র্তে সেগুলো সারা‌নো যা‌বে না। সেগুলো ঠিক কর‌তে গে‌লে আ‌রও বিপদ ঘট‌বে। যে নালীটা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ছিল, ওই নালীটা ঠিক করার পর তাঁর প‌রি‌স্থি‌তি অনেকটা উন্ন‌তির পর্যা‌য়ে গি‌য়ে‌ছিল। কিন্তু এখন অবস্থার উন্ন‌তি হয়-অবন‌তি হয়, এমন অবস্থা চল‌ছে। দেশবাসী, আপনারা তাঁর জন্য দোয়া ক‌রেন, আমরা চেষ্টা কর‌ছি। ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা না য‌াওয়া পর্যন্ত তাঁর অবস্থা স্থি‌তিশীল বলা যা‌চ্ছে না।’

আরও পড়ুন:
‘কাদেরের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়’