
অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটগুলো দূর করে যদি একটি ন্যায়ভিত্তিক বৈষম্যমুক্ত সমাজব্যবস্থা চালু করা যায়, তাহলে মানুষের
মধ্যে হতাশা কমে আসবে, আত্মহত্যার প্রবণতাও দূর হবে। আত্মহত্যার পেছনে যে কারণই থাক না কেন, এটি রোধ করা
প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম।
গতকাল শনিবার বিকেল চারটায় শাহবাগের কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে মানসিক মুঠোফোন সহায়তা
সংগঠন ‘কান পেতে রই’-এর ১০০তম দিবস পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, রাষ্ট্র আত্মহত্যাকে স্বীকৃতি দেয় না। আর যাঁরা
নির্যাতিত হয়ে আত্মঘাতী হচ্ছেন, তাঁরা মনে করছেন, এর ফলে নিপীড়কের শাস্তি হবে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আত্মহত্যায়
প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে কারও সাজা হয় না।
সমাজে যাঁরা হতাশা, নিঃসঙ্গতা, মানসিক চাপ এবং আত্মহনন প্রবণতায় ভুগছেন, তাঁদের মানসিক সমর্থন দেওয়া এ সংগঠনের
মূল উদ্দেশ্য বলে জানান মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি আরও বলেন, ‘তাঁদের কথা শুনতে হবে এবং জীবনে বেঁচে থাকার কারণ
বোঝাতে হবে। আর এ কাজটা শুরু করেছে তরুণেরা, তাদের অভিনন্দন জানাই।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক ইয়াসমীন হক, মোহাম্মদ কায়কোবাদ, মনোবিজ্ঞানী শাহীন ইসলাম ও মোহিত কামাল এবং
গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। এ ছাড়া কান পেতে রই-এর কার্যক্রম বর্ণনা করেন প্রতিষ্ঠাতা
ইয়েশিম ইকবাল এবং উপদেষ্টা হাম্মাদ আলী। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ইয়েশিম ইকবালের দাদি আয়েশা ফয়েজ ও পরিবারের সদস্যরা
উপস্থিত ছিলেন।
কান পেতে রই বাংলাদেশে প্রথম মানসিক মুঠোফোন সহায়তা সংগঠন। আগ্রহীরা রোববার থেকে বুধবার বেলা তিনটা থেকে রাত
নয়টা এবং বৃহস্পতিবার বেলা তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত ০১৭৭৯৫৫৪৩৯১-৯২, ০১৬৮৮৭০৯৯৬৫-৬৬,
০১৯৮৫২৭৫২৮৬ এবং ০১৮৫২০৩৫৬৩৪ —এই নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করতে পারবেন।