Thank you for trying Sticky AMP!!

কিশোর হৃদয় হত্যাকাণ্ডে ৩ আসামির রিমান্ড

নিহত কিশোর হৃদয়

বরগুনায় ঈদের বিকেলে কিশোর হৃদয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসামির মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক তিনজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দিন এ আদেশ দেন। এ ছাড়া মামলায় গ্রেপ্তার অপ্রাপ্তবয়স্ক চার আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি।

এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ছোট লবণগোলা গ্রামের বাড়িতে হৃদয়ের দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে মামলার ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে নিহত হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১৪-১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

হৃদয় হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনার সদর থানার পরিদর্শক সরোজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, এ মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসামির মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক আসামি নোমান কাজি, হেলাল মৃধা ও হেলাল ফকিরের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয় ভার্চুয়াল আদালতে। পরে আদালত তাদের প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এই মামলায় গ্রেপ্তার অপর চার অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিরও সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত এই রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত সোমবার ঈদের দিন বিকেল ৫টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের গোলবুনিয়া এলাকায় পায়রা নদীর পাড়ে ঘুরতে যায় নিহত হৃদয়। এ সময় স্থানীয় এক যুবকসহ ১০-১২ জন হৃদয়কে লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া দেন। হৃদয় নদীর চর ধরে দৌড়ে পালাতে গিয়ে পড়ে যান। তখন তার ওপর হামলে পড়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। তাকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। সে অচেতন হয়ে পড়লে হামলাকারীরা তাকে নদীর চরে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা হৃদয়কে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার সকালে তাকে বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০ টায় সে মারা যায়।

হৃদয় বরগুনা শহরের চরকলোনি এলাকার চাঁদশী সড়কের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। বরগুনা সরকারি টেক্সটাইল ও ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল হৃদয়।