প্রজাপতি

কেশবতী রূপবতীও

কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের বড় ছড়ায় কেশবতী প্রজাপতি। ছবি: লেখক
কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের বড় ছড়ায় কেশবতী প্রজাপতি।  ছবি: লেখক

কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের বড় ছড়া ধরে হাঁটছি। অ্যারিস্টোলশিয়া কোয়াডানাটা নামের একটি ফুলের ছবি তুলতে গিয়ে হঠাৎই গোলাপি-কালো প্রজাপতিটি চোখে পড়ল। প্রজাপতিটি বিরল ও বিপন্ন। নাম তার কেশবতী। ইংরেজিতে কমন ব্যাটউইং। বৈজ্ঞানিক নাম atrophaneura varuna

কেশবতীর প্রসারিত ডানা ৮৮ থেকে ১৩৬ মিলিমিটার লম্বা। পুরুষের ডানার ওপরটা মখমলে নীলচে-কালো ও দাগহীন। বুকের ওপর ও নিচ কালো; পেটের ওপরটাও কালো। পেটের নিচটা সিঁদুরে লাল, বুক-পেটের দুপাশে লালের ওপর কালো ফোঁটা।

স্ত্রী কেশবতীর ডানার ওপরটা বাদামি-কালো, সামনের ডানার ভূমিকোণ বরাবর সাদা দাগ ও শিরার মাঝে গাঢ় ডোরা। বুক ও পেটের ওপরটা বাদামি-কালো। নিচটা অনুজ্জ্বল সিঁদুরে লাল। স্ত্রী আকারে বড়।

কেশবতী মূলত সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের আধা-চিরসবুজ বনের বাসিন্দা। এরা এপ্রিল, মে ও জুলাইয়ে ধীরলয়ে উড়ে বেড়ায়। এরা মূলত ফুলের নির্যাস পান করে। ঈশ্বরমূল বা এজাতীয় গাছে ডিম পাড়ে। জীবনচক্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারে এদের দেখা মেলে।