যন্ত্রসঙ্গী

ঘরের ভেতর সুরের খেলা

গান শুনতে ভালোবাসেন। সামর্থ্য থাকলে কিনতে পারেন বড় গানের যন্ত্র। মডেল: মীম। ছবি: অধুনা
গান শুনতে ভালোবাসেন। সামর্থ্য থাকলে কিনতে পারেন বড় গানের যন্ত্র। মডেল: মীম। ছবি: অধুনা

ধরুন, কোনো এক অলস দুপুর। আপনার ঘরে বাজছে মজার একটা গান! গানের তালে তালে মনটাও কেমন দোল খেয়ে যায়! কিন্তু গান শোনার যন্ত্রটা যদি জুতসই না হয়, গানের মজাতেও নিশ্চয় কিছুটা ভাটা পড়ে। গিটার, দোতারা, বেহালা, বাঁশি ও কাওন—অদ্ভুত সব যন্ত্রানুষঙ্গ। সবগুলোর মজাটা আলাদা করে পেতে হলেও তো একটা ভালো মানের সাউন্ড বক্স চাই। শব্দব্যবস্থা যদি ভালো হয়, গানের স্বাদ কেমন যেন পাল্টে যায়!

কথা হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামিয়া নুসরাতের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়া গিটার বাজায়। কয়েক দিন আগে যখন বিশাল বিশাল সাউন্ড বক্স কিনে ফেলল, আম্মু খুব বকা দিয়েছিল। আমিও ভাবছিলাম, সাউন্ড বক্স তো একটা হলেই হয়। ভাইয়া ঘরের প্রতিটা কোনায় একটা করে সাউন্ড বক্স রেখেছে। এখন ভাইয়ার ঘরে গান শুনতে খুব ভালো লাগে! ভাইয়া না থাকলে আমিও মাঝেমধ্যে শুনি।’

বাসায় গান শোনার জন্য বাজারে পাওয়া যায় নানা ধরনের সরঞ্জাম। সিডি, ডিভিডি প্লেয়ার তো আছেই, অনেকে হোম থিয়েটারে গান শুনতে পছন্দ করেন। সাধারণ সাউন্ড সিস্টেমের আছে নানা ধরন।২: ১, ৩: ১, ৫: ১; অনেকে ৭: ২ স্পিকারের সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করেন অনেকে। এটি মূলত সাধারণ শব্দের আউটপুট আর বেইজ অ্যাম্পের সংখ্যার অনুপাত। গানের সঙ্গে বেইজের বিটগুলো চমৎকার ধরা পড়ে বেইজ অ্যাম্পে। অনেকে ঘরের ভেতর ছোট ছোট উফার ব্যবহার করেন, চাইলে তাও করতে পারেন। কথা হলো বসুন্ধরা সিটির আইটি ফেয়ার ডটকমের বিক্রয় ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানান, পছন্দ অনুযায়ী সাউন্ড সিস্টেম বেছে নিতে পারেন। ৪০০ টাকার স্পিকার থেকে শুরু করে লাখ টাকার সাউন্ড সিস্টেমেও পাবেন। একটু যত্ন নিলে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। সাউন্ড বক্স একটু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত।

অবসর সময়ে বিনোদনের জন্য গান শুনলেও, তাতে যেন প্রতিবেশীদের অসুবিধা না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখুন। বিশ্রামের সময় পাশের বাড়িতে কেউ যদি উচ্চ স্বরে গান বাজায়, তা নিশ্চয় আপনারও ভালো লাগবে না।

বাজার ঘুরে

ট্রান্সকম ডিজিটালের শো রুমগুলোয় পাওয়া যাচ্ছে ফিলিপসের হোম থিয়েটার। চারটি স্ট্যান্ড, উফার ও ডিভিডি প্লেয়ার-সমেত হোম থিয়েটারটির দাম পড়বে ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা।

সনির শাখা ঘুরে দেখা গেল, তিন ধরনের সাউন্ড সিস্টেম পাওয়া যাচ্ছে। ডিজে, হাইফাই ও হোম থিয়েটার। ডিজে সাউন্ড সিস্টেমের ভেতরে রয়েছে বিল্ট ইন ডিজে ইফেক্ট। দাম পড়বে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা। বিভিন্ন ধরনের হোম থিয়েটারের দাম ২৫ হাজার ৯০০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া হাইফাই সাউন্ড সিস্টেমের দাম ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজারের মধ্যে।

প্যানাসনিকের আছে দুই ধরনের সাউন্ড সিস্টেম। হাইফাই ও হোম থিয়েটার। হাইফাইয়ের দাম ৩৮ হাজার থেকে ৫০ হাজারের মধ্যে। এ ছাড়া হোম থিয়েটারের দাম পড়বে ২৩ হাজার ৬০০ থেকে ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা জানান, মাইক্রোল্যাব আর ক্রিয়েটিভের সাউন্ড বক্সগুলোরই বিক্রি বেশি। মাইক্রোল্যাবের বিভিন্ন মডেলের সাউন্ড বক্সের দাম পড়বে এক হাজার ৬০০ থেকে ১০ হাজার টাকা। ক্রিয়েটিভের ভালো মানের সাউন্ড বক্সগুলো পাওয়া যাবে ১৬ হাজার টাকার মধ্যে। এ ছাড়া লজিটেক, ইনটেক্স, গোল্ডব্রিজ, নিউম্যান, ব্ল্যাকক্যাট, ম্যাজিক বিভিন্ন কোম্পানির সাউন্ড বক্স বাজারে পাওয়া যায়।