Thank you for trying Sticky AMP!!

চোরাকারবারিরা সাধারণ মানুষকে ঢাল বানায়

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী সীমান্তের রুদ্রানী এলাকায় আজ রোববার বিজিবি ২৯ ব্যাটালিয়নের আয়োজনে মাদক চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধে জনসচেতনতামূলক শোভাযাত্রা বের হয়। ছবি: প্রথম আলো

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ২৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম রেজাউর রহমান বলেছেন, চোরাকারবারিরা নিজেদের রক্ষায় সব সময় সীমান্তের সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। অপরাধীদের কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়া হলেই চোরাকারবারিরা সাধারণ মানুষকে ভুল তথ্য দিয়ে উত্তেজিত করে বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়।

আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে দিনাজপুরে ফুলবাড়ী সীমান্তের রুদ্রানী ঈদগাহ মাঠে মাদক চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধে জনসচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেজাউর রহমান এসব কথা বলেন।

বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান সরকার দেশ থেকে চোরাচালান ও মাদক নির্মূলে অঙ্গীকারবদ্ধ। চোরাকারবারিসহ মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূলে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সচেতন হতে হবে। বিজিবি কখনোই সাধারণ মানুষের প্রতিপক্ষ নয়। বিজিবি সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দেশ থেকে চোরাচালান ও মাদক নির্মূলে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে সবাইকে নিরাপদভাবে চলাচল করতে হবে। প্রতিটি দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। সীমান্তে মাদক, চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার রোধে বিজিবি সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কোনো নিরীহ মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হোক, তা কেউ কখনো চায় না।

প্রসঙ্গত, ১২ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় বিজিবির সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হন। উপজেলার বেতনা সীমান্ত এলাকার বহরমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিজিবির দাবি, নিহত ব্যক্তিরা গরু চোরাচালানকারী দলের সদস্য ছিলেন। চোরাকারবারি করে আনা গরু জব্দ করা হলে গ্রামবাসী বিজিবির ওপর চড়াও হয়। পরে আত্মরক্ষার্থে বিজিবি গুলি চালায়।

জনসচেতনতামূলক সভায় নায়েক মো. কাওসার হোসেনের সঞ্চালনায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ নাসিম হাবিব, এলুয়াড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নবীউর রহমান, কাজিহাল ইউপির চেয়ারম্যান মানিক রতন, রুদ্রানী দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. তোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ। সভা শেষে জনপ্রতিনিধি, বিজিবির সদস্য, গণ্যমান্য ব্যক্তি, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে শোভাযাত্রা বের করা হয়।