Thank you for trying Sticky AMP!!

জামালপুর, সুনামগঞ্জ ও জুড়ীতে বজ্রপাতে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু

বজ্রপাত। ফাইল ছবি

দেশের তিন জেলায় বজ্রপাতে দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে জামালপুর, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বাবার জন্য খাবার নিয়ে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে লাবণী আক্তার (১১) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের নন্দনগর গ্রামের বাবুল মিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় বরমচাল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।

স্থানীয় লোকজন জানান, সকাল ৯টার দিকে বাড়ির পাশের জমিতে বোরো ধান কাটছিলেন বাবুল মিয়া। এ সময় তাঁর জন্য সকালের খাবার নিয়ে যাচ্ছিল লাবণী। হঠাৎ ঝড় শুরু হলে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয় সে। পরে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মারা যায় লাবণী।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসা প্রথম আলোকে বলেন, বজ্রপাতে আহত হয়ে লাবণীর মৃত্যু হয়েছে। বিনা ময়নাতদন্তে তার লাশ পেতে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে।

জামালপুর পৌর শহরের বাগেরহাটা বটতলা এলাকায় আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বজ্রপাতে জান্নাতী (১৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জান্নাতী বাগেরহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। তার বাবা একজন ব্যবসায়ী। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল সবার বড়। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকাল নাড়ে নয়টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় শিশুটি বাড়ির উঠানে আম কুড়াতে গেলে বজ্রপাতের শিকার হয়। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে বালু উত্তোলনের সময় বজ্রপাতে জাফর মিয়া (৪১) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। জাফর মিয়ার বাড়ি উপজেলার বরহাটি গ্রামে।

পুলিশ জানায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অন্যদের সঙ্গে জাফর মিয়া বালু তোলার কাজ করছিলেন। এ সময় ঝড় শুরু হয়। হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দন কান্তি দে বজ্রপাতে এক শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।