কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব সাইরার ডেইল এলাকায় ৫০০ মিটার কাঁচা রাস্তা ভেঙে গেছে দুই বছর আগে। ওই সড়কের এক পাশে চিংড়িঘের, অন্য পাশে বসতঘর। তাই চলাচলের জন্য স্থানীয় লোকজন বাধ্য হয়ে রাস্তার পাশে ঘেরের ভেতরে সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছেন।
স্থানীয় লোকজন বলেন, সাঁকো পার হতে গিয়ে স্কুলশিক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। গত এক মাসে স্কুলে যাওয়ার সময় ১২-১৩ জন শিক্ষার্থী সাঁকো থেকে পড়ে গেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, একটি বালিকা মাদ্রাসা ও দক্ষিণ সাইরার ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হচ্ছে। এ সময় সাঁকো থেকে পড়ে দুই শিশু শিক্ষার্থীর বইপত্র ভিজে যায়। বইপত্র ভিজে যাওয়ায় ওই দুই শিক্ষার্থী স্কুলে না গিয়ে বাড়িতে ফিরে যায়। সাইরার ডেইল এলাকার বাসিন্দা ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য হামেদ হোসাইন বলেন, দুই বছর আগে ৫০০ মিটার কাঁচা রাস্তা ভেঙে যাওয়ার পর এলাকাবাসী নিজেদের উদ্যোগে বেশ কয়েকবার সংস্কার করেন। কিন্তু পরে আবারও রাস্তাটি ভেঙে গিয়ে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
দক্ষিণ সাইরার ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মোনাফ বলেন, অন্তত ২০০ শিক্ষার্থীকে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার হতে হয়। মাঝেমধ্যেই সাঁকো থেকে পড়ে অনেক শিক্ষার্থীর বইপত্র ভিজে নষ্ট হচ্ছে। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কাঁচা রাস্তাটি সংস্কার করা খুবই জরুরি।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোশারেফ হোসেন বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ারুল নাসের বলেন, বিষয়টি এর আগে কেউ তাঁকে জানায়নি। তিনি বলেন, ওই কাঁচা রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।