Thank you for trying Sticky AMP!!

ট্রেনে নারীর জন্য কামরা বরাদ্দ চেয়ে রিট আপাতত কার্যতালিকা থেকে বাদ

হাইকোর্ট

যাত্রীবাহী প্রতিটি ট্রেনে নারীদের জন্য নির্দিষ্ট কামরা বরাদ্দ রাখার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটটি আপাতত কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রিটটি তালিকা থেকে বাদ দেন।

রেলওয়ে আইনের ৬৪ ও ১১৯ ধারা বাস্তবায়নে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ১৩ জানুয়ারি রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মমতাজ পারভীন, যা আজ শুনানির জন্য ওঠে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনীক আর হক ও আইনজীবী আজমল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
শুনানিতে অনীক আর হক বলেন, আইনের ৬৪ ধারা অনুসারে নারীদের জন্য ট্রেনে নির্ধারিত কামরা রাখা বাধ্যতামূলক। ১১৯ ধারা অনুসারে কোনো পুরুষ ওই কামরায় বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করলে জরিমানা আরোপের কথা রয়েছে। একপর্যায়ে আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, মক্কেলের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সময় দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন (রিপ্রেজেন্টেশন) দিয়ে আসতে পারেন। আপাতত রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হলো।

আইনজীবীর তথ্যমতে, ১৮৯০ সালের রেলওয়ে আইনের ৬৪ ধারা অনুসারে প্রতিটি ট্রেনে নারীদের জন্য নির্দিষ্ট কামরা থাকার কথা। ৫০ মাইলের বেশি ভ্রমণকারী ট্রেনের ক্ষেত্রে ওই কামরার সঙ্গে একটি শৌচাগার সংযুক্ত থাকবে বলা আছে। সেখানে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করলে জরিমানা আরোপের কথা উল্লেখ আছে ১১৯ ধারায়। ওই দুই ধারার বাস্তবায়ন না হওয়ার প্রেক্ষাপটে ওই রিট করা হয়।