Thank you for trying Sticky AMP!!

ডাকসুতে হামলা তদন্তে আরও ১০ কার্যদিবস সময় নিল কমিটি

গত ২২ ডিসেম্বর ডাকসু ভবনে ভিপি নুরুল হকের কক্ষে বাতি নিভিয়ে হামলা চালান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা কমিটি নির্ধারিত ও অতিরিক্ত মিলিয়ে মোট ১৬ কার্যদিবস শেষ হলেও প্রতিবেদন দিতে পারেনি। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর আরও ১০ কার্যদিবস অতিরিক্ত সময় নিয়েছে কমিটি ৷

গত ২২ ডিসেম্বর ডাকসু ভবনে ভিপি নুরুলের কক্ষে বাতি নিভিয়ে হামলা চালান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে নুরুলসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন৷ এই হামলার আগে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীরা সেখানে ভাঙচুর চালান৷

হামলার ঘটনা তদন্তে পরদিন ২৩ ডিসেম্বর ৬ সদস্যের কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তদন্ত কমিটিকে প্রথমে ছয় কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল৷ নির্ধারিত এই সময়ে কমিটি প্রতিবেদন দিতে পারেনি৷ পরে কমিটির অনুরোধে আরও ১০ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়৷ তবে সেই সময়সীমা শেষ হলেও কমিটির তদন্ত শেষ হয়নি৷

গত ২২ ডিসেম্বর ডাকসু ভবনে ভিপি নুরুল হকের কক্ষে বাতি নিভিয়ে হামলা চালান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ফাইল ছবি

পরে কমিটির প্রধান উপাচার্যের কাছে আরও সময় চান। উপাচার্য সময় বাড়িয়ে দেন৷ ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই অতিরিক্ত এই সময় শেষ হবে আগামী ২৯ জানুয়ারি৷

কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন আবু মো. দেলোয়ার হোসেন গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ইতিমধ্যে ২২ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থেই অতিরিক্ত সময় নেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে৷

তদন্ত কমিটিতে অধ্যাপক দেলোয়ার ছাড়াও আছেন শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া সাহা, সিনেট সদস্য অসীম কুমার সরকার, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন, সিন্ডিকেট সদস্য মিজানুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ মাঈনুল করিম ৷

ডাকসু ভবনে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। এর একটির বাদী ভিপি নুরুল হক। একটির বাদী পুলিশ। আর অন্য দুটির বাদী ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান দুই নেতা।

পুলিশের মামলার আসামি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিন নেতা বর্তমানে কারাগারে আছেন ৷