ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে মহাসড়কে যানজট দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, বিকেল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ীর হানিফ উড়ালসড়কে অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্ররা। উড়ালসড়কের কয়েকটি জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলম প্রথম আলোকে বলেন, বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর থেকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকার মাদ্রাসাছাত্ররা সড়কে অবস্থান নেন। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী অংশে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দেখা যায়, শতাধিক মাদ্রাসাছাত্র সেখানে লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে অবস্থান করছেন। হানিফ উড়ালসড়কের কয়েক জায়গায় টায়ারের আগুন জ্বলছিল। যানবাহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে যাত্রাবাড়ীর মোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন। আবার কেউ কেউ হানিফ উড়ালসড়ক ধরে হেঁটে হেঁটে গুলিস্তানের দিকে রওনা হন।
Also Read: হাটহাজারীতে সংঘর্ষে চারজন নিহত, বলছে পুলিশ
সড়ক অবরোধে আটকে পড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিকেল থেকে তিনি শনির আখড়ায় আটকে পড়েছেন। কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
যানবাহন বহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গুলিস্তানের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন আবদুর রহমান নামের এক যাত্রী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, হঠাৎ করে যাত্রাবাড়ী এসে দেখেন সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
Also Read: সংঘর্ষে উত্তপ্ত বায়তুল মোকাররম এলাকা
সরেজমিন আরও দেখা যায়, যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী অংশে মাদ্রাসাছাত্ররা অবস্থান নিলেও পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে খানিকটা দূরে অবস্থান নিয়েছেন। যাত্রাবাড়ীর পূর্ব রসুলপুর এলাকার সড়কে যাত্রাবাড়ী থানার অন্তত ৫০ জন পুলিশ সদস্য অবস্থান নিয়েছেন।
ঢাকার বায়তুল মোকাররম এলাকায় মুসল্লি ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চারজন মারা যান বলে পুলিশ জানিয়েছে।